সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে শিগগিরই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭ প্রদর্শন করেছেন

পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি ফ্লাইট চালু হচ্ছে শিগগিরই। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির বন্দরনগরী করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এই ঘোষণা দিয়েছেন।

এর ফলে উভয় দেশ এবং দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

করাচিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এস এম মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হবে, যা দুই দেশ এবং উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, হায়দ্রাবাদ চেম্বার অব স্মল ট্রেডার্স অ্যান্ড স্মল ইন্ডাস্ট্রির (এইচসিএসটিএসআই) সহযোগিতায় হায়দ্রাবাদে দুই দেশের আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জন্য একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হবে।

এছাড়া মাহবুবুল আলম ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এই ইভেন্টে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের সুবিধার্থে তাদের ভিসা প্রক্রিয়া সহজতর করা হবে।

এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলছে, হায়দ্রাবাদ চেম্বার পরিদর্শনকালে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছেন।

মাহবুবুল আলম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ তার পণ্য ৮০টি দেশে রপ্তানি করে বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় করছে। তবে, তিনি পাকিস্তানের সাথে শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্কের মাধ্যমে উভয় দেশের সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

অনুষ্ঠানে এইচসিএসটিএসআই-এর সভাপতি মুহাম্মদ সেলিম মেমন বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যের মধ্যে নিহিত। তিনি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথাও এসময় তুলে ধরেন। এছাড়া ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তান থেকে সরাসরি কার্গো জাহাজ বাংলাদেশে পৌঁছানোর বিষয়টিকে তিনি মাইলফলক হিসেবেও উল্লেখ করেন।

এছাড়া তিনি ঢাকায় শুল্ক ছাড়পত্রে পাকিস্তানি পণ্য রপ্তানিকারকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে থাকেন সেগুলো তুলে ধরেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান। এই ধরনের প্রক্রিয়াগুলো আরও সুগম করার জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের সুপারিশও করেন মুহাম্মদ সেলিম মেমন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ