বছরের শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয় উপভোগ করতে বরাবরই কুয়াকাটায় আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকের। এখানে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কিন্তু এ বছরের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। প্রতিবছরের মতো এ বছর হোটেল-মোটেলগুলোতে ব্যবসায়ীদের আগাম প্রস্তুতি থাকলেও তেমন সাড়া নেই পর্যটকদের। এখন পর্যন্ত কুয়াকাটার হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে ৫০ শতাংশ রুম বুকড হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের প্রসিডেন্ট এমএ মোতালেব শরীফ বলেন, প্রতিবছরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের এক সপ্তাহ আগে আমাদের পুরো হোটেল অগ্রীম বুকিং পেতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মোট রুমের ৫০ শতাংশ রুম বুকিং পেয়েছি। এটি শুধু আমার হোটেলই নয় এটি পুরো কুয়াকাটার চিত্র।
হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আমাদের হোটেলে বিশেষ কোনো আয়োজন নেই। তবে ইচ্ছে ছিল আশানুরূপ পর্যটক হলে হোটেলে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষ্যে একটি বড় আয়োজন করার। কিন্তু আশানুরূপ বুকিং আমরা পাইনি।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, বছরে যতগুলো বন্ধে কুয়াকাটায় পর্যটক আসে, তার মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই বন্ধকে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক আয়োজন থাকে। আর এবার আকাঙ্ক্ষা ৫০ শতাংশ বুকিং হওয়ায় কিছুটা হতাশ, হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেওয়া ২৬টি পেশার মানুষ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, প্রতি বছর ডিসেম্বরজুড়ে পর্যটকদের চাপ থাকে। কিন্তু এ বছর কিছুটা কম। তবে সার্বিকভাবে আমরা তৎপর রয়েছি। থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করেছি। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আমাদের টিম কাজ করছে। পর্যটক কম থাকলেও নিরাপত্তায় কোনো কমতি থাকছে না কুয়াকাটায়।