স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিপ্লবের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এতে অংশ নেন নিহত বিপ্লবের বাবা পাশ্ববর্তী বকশিগঞ্জের দড়িপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাবিল মিয়া, মোহাম্মদ আলী বিদ্যানিকতনের পরিচালক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক রতন মিয়াসহ স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লব শ্রীবরদীর দহেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থেকে মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনে পড়া লেখা করত। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পার্শ্ববর্তী মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ী মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে যায় বিপ্লব। সেখানে পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচুরার মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরিফ হোসেন, বাবু, মনির ও ইউসুব আলীসহ অনেকের সঙ্গে বিপ্লবের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওয়াজ মাহফিল থেকে নানার বাড়ি ফেরার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীবরদী হাসপাতালে নেয়। এ সময় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে নিহত বিপ্লবের বাবা কাবিল মিয়া বাদি হয়ে আরিফ, মোখলেস, মনিরসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুই জনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরিফসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।