উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে স্মাট নগর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঘড়ি প্রতীক মেয়র প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্য সাবেক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু ২৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। নির্বাচনী ইশতেহারগুলো হচ্ছে,
১. নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত সড়কসমূহ প্রশস্থকরণ দাখিলকৃত ও প্রধান সড়কের মোড়সমূহ প্রশস্থকরণে প্রকল্প বিদ্যমানসমূহ অনুমোদনের মাধ্যমে যানজট নিরসন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ।
২. যানজট নিরসনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা প্রশস্তকরণ, রেলপথ বিভাগের ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ ট্রাফিকসহ বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনে সকল বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।
৩. নগরীর প্রবেশদ্বারে সন্নিকটে তিনটি বাস টার্মিনাল ও একটি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের দাখিলকৃত প্রকল্প দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে নগরীর যানজট নিরসনে উদ্যোগ গ্রহণ।
৪. নগরবাসীর যাতায়তের সুবিধার্থে চলমান রাস্তাসমূহ পাকাকরণ প্রকল্প দ্রুত সম্পন্নকরণ ও নতুন পুরাতন সকল ওয়ার্ডের সসস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট দ্রুত নির্মাণ।
৫. নগরীর খালসমূহ দখলমুক্ত করণের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি ও জলাবদ্ধতা নিরসনের চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্প সমূহ দ্রুত সম্পন্নকরণের উদ্যোগ গ্রহণ।
৬. হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং পৌর করকে আরো সহনীয় করতে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।
৭. পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী গড়ার লক্ষ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্মাণাধীন প্ল্যান্ট দ্রুত বাস্তবায়ন ও অন্যন্য কার্যক্রমসমূহ আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ। পাশাপাশি নগরীর সর্বত্র দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ।
৮. বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রক্রিয়াধীন প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বর্জ্যমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ।
৯. বিভিন্ন অপতৎপরতা রোধ করে আলোকিত নগরায়নের লক্ষ্যে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলমান ‘সড়ক বাতি’ স্থাপন প্রকল্প দ্রুত সম্পন্নকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।
১০. সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময় প্রদত্ত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসমূহ সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা ও অন্যান্য নাগরিক সেবাসমূহ জনগণের নিকট সহজলভ্য করার ব্যবস্থা করা।
১১. নাগরিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে প্রস্তাবিত আধুনিক ‘নগর ভবন’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবাসমূহ ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ।
১২. নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের লক্ষ্যে নানাবিধ যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে ও সবুজ নগরায়নের লক্ষ্যে রাস্তার দুই পাশে ও খোলা জায়গা পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ ও জলধার নির্মাণ ও সংরক্ষণের উদোগ গ্রহণ।
১৩. নগরবাসীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে চলমান চারটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধি ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতাল দ্রুত সম্পন্নকরণের উদ্যোগ গ্রহণ।
১৪. নগরবাসীর বেকারত্ব রোধে নারী-তরুণদের নানাবিধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া।
১৫. বেকারত্ব রোধে ময়মনসিংহ নগরীকে শিল্পনগরী ও পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ।
১৬. বর্ধিত নতুন এলাকাসমূহে নগর বিন্যাসের পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামী নগরীকে সাচ্ছন্দ্যময় করে তোলা।
১৭. নগরীর প্রত্যেক এলাকায় সহজাত তারুণ্যের বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন ও পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করণে সহযোগিতা প্রদান।
১৮. বিভাগীয় সাংস্কৃতিক পল্লি নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ।
১৯. শিশুদের শারিরীক বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত ‘শেখ রাসেল শিশু পার্ক’ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও ‘বিপিন পার্ক’ আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ।
২০. সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও কবরস্থান, শ্মশান ঘাটসমূহ আরও সুবিধা সম্বলিত উন্নত করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।
২১. মাদকসেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে বিরত রাখতে যুবসমাজের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা প্রদান।
২২. সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যমান ৫টি অনলাইন সেবাসমূহ ছাড়াও অন্যান্য সেবা সমূহ ডিজিটালাইজেশন এর মাধ্যমে সম্মানিত নাগরিকবৃন্দের হাতের মুঠোয় পৌছে দেওয়া এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে স্মার্ট কর্ণার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ।
২৩. বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সম্মানিত নাগরিকদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ।