হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে খৎনা করাতে গিয়ে তামিম আহমেদ নামে এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সিলগালা করে দেন। জানা যায়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে তামিমকে তার বাবা খৎনা করানোর জন্য আউশকান্দি বাজারে নিয়ে যান। সেখানকার কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী সিলগালা করা তালা খুলে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খৎনা করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। হঠাৎ তামিমের চিৎকার শোনে তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজন অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করে দেখতে পান মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড়থাপ্পড় মারছেন। এ সময় তামিমের বাবা-মা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ঘেরাও করে রাখেন। এ সময় স্থানীয়রা শিশু তামিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এদিকে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ আহমদ আজাদসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করতে গেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তামিমের চাচা হারুন মিয়া বলেন, খৎনার নামে ভুল অপারেশন করে আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এতে অনেক রক্তক্ষরণ হয়। সে ব্যথায় চিৎকার করে কান্নাকাটি করলে চিকিৎসক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক তাকে মারধর করে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছি। নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার সাংবাদিকদের জানান, ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কেন খোলা হলো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।