সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন

ভালো কাজে আমি কখনও ক্লান্ত হই না : শ্রাবণ্য তৌহিদা

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৭ প্রদর্শন করেছেন

ইভেন্ট কিংবা টিভি শো বা কোনো গেম শো সবখানেই শ্রাবণ্য তৌহিদা। যেন দম ফেলবার ফুরসত নেই। তবু এই ব্যস্ত জীবনটাই উপভোগ করতে চান আজীবন। শ্রাবণ্য’র কথায়, ‘ভালো কাজে আমি কখনও ক্লান্ত হই না। কাজ করার জন্যই তো পৃথিবীতে এসেছি। একটানা কাজ করে যেতে চাই। নিজেকে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে চাই সবসময়।’নিজেকে উপস্থাপনার জন্য প্রস্তুতি কিভাবে নেন, এমন প্রশ্নে শ্রাবণ্য বলেন, ‘সবকিছুই চর্চার বিষয়। সেটা অভিনয় করতে গিয়ে আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি। নিয়মিত রেওয়াজ, উচ্চারণ অনুশীলন, সময় না পেলে গল্পের বই পড়া বা পত্রিকা জোরে পড়াও আমার কাছে প্র্যাকটিস করার মতো। আর অনুষ্ঠানের আগে অবশ্যই অতিথি বা আয়োজন নিয়ে হোমওয়ার্ক করা।’একাধিক মাধ্যমে কাজ করলেও টেলিভিশন উপস্থাপনাতেই বেশি আগ্রহ তার। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা উপভোগ করি। একই সঙ্গে সরাসরি আয়োজনও। বিশেষ করে, খেলার অনুষ্ঠান বেশ উপভোগ করি। খোলা মাঠে যখন বড় কনসার্ট হয়, দর্শকদের একদম সরাসরি সংযোগ থাকে, সেটাও অনেক বেশি উপভোগ করি। প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও একাধিক চ্যানেলে অনুষ্ঠান রয়েছে। এর পাশাপাশি কর্পোরেট ইভেন্ট তো রয়েছেই।’উপস্থাপনার পাশাপাশি পুরোদস্তুর ডাক্তারি পেশায় রয়েছেন শ্রাবণ্য। আমি আমার চিকিত্সক পেশাটাকেও খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি। তাই দুটোকেই আমি ঠিকঠাক সামলে নিয়ে এগোতে চাই।’চিকিত্সা পেশায় নানান ধরণের উপলব্ধি রয়েছে শ্রাবণ্যর। তবু প্রথম দিককার সময়ের গল্প বলতে গিয়ে বলেন, ‘বিসিএস দেওয়ার পর আমার প্রথম পোস্টিং কেরানীগঞ্জ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। একদিন নাইট ডিউটি করার সময় এক অজ্ঞান রোগী জরুরি বিভাগে এল। তাঁর পরিবারের সবাই মনে করে, স্ট্রোক অথবা হার্ট অ্যাটাক। আমিও তাই চিন্তা করি। কিন্তু তাঁর যেহেতু ডায়াবেটিস ছিল এবং ইনসুলিন নিতেন, তাই তিনি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। জরুরি বিভাগেই আমি তাকে একটা স্যালাইন ও ইনজেকশন দেওয়ার পর তিনি চোখ খুলে তাকান, দ্যাট ওয়াজ লাইক ম্যাজিক। আমাকে অনেক দোয়া ও ভালোবাসা দিয়েছিল ওই রোগীর পরিবার।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ