সোনারগাঁয়ে ফয়সাল আহম্মেদ হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে তিন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিতাই চন্দ্র দাস ও তার ছেলে তপন চন্দ্র দাস ও অপু চন্দ্র দাসকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন- নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার ঋষিপাড়া এলাকার নিতাইগঞ্জ চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আসামীরা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ফয়সালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার বিচার কার্যক্রম শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন সুইট জানান, ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে ফয়সাল আহমেদ তার মামার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সোনারগাঁ থানায় তার মামা মানিক জিডি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে ৩ ফেব্রুয়ারী র্যাব-১১ সোনারগাঁয়ের বাগমুছা ঋষিপাড়ার অপূর্ব চন্দ্র দাস ও একই এলাকার তপু চন্দ্র দাস ওরফে অপুকে গ্রেপ্তার করে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফয়সালকে হাত-পা বেধে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ খালের কচুরীপানায় গুম করে। পরে ওই বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী আসামীদের দেখানো মতে কচুরীপানার ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।