‘আদুজীভিথাম’ (দ্য গোট লাইফ) মুক্তির ৮ দিনেই ১০০ কোটি আয়
বিনোদন ডেস্ক
-
প্রকাশের সময়ঃ
শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪
-
৩৮
প্রদর্শন করেছেন
‘আদুজীভিথাম’ (দ্য গোট লাইফ) চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। পৃথ্বীরাজ সুকুমারন অভিনীত সিনেমাটি আট দিনে বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ১০০ কোটি রুপি আয় করে নিয়েপ। সামাজিক মাধ্যম এক্সে (টুইটার) পৃথ্বীরাজ বিষয়টি জানিয়েছেন। বক্স অফিসের আয় শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি এবং এখনো গণনা চলছে। এই অভাবনীয় সাফল্যের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’ এদিকে অভিনেতার পোস্টে ভক্তরা একের পর এক মন্তব্য করে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কারো মতে, মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে দ্রুততম ১০০ কোটির ক্লাবে প্রবেশ করেছে সিনেমাটি। কেউ কেউ সিনেমাটিকে মালয়লাম সিনেমার মাইলস্টোন হিসেবেও উল্লেখ করছেন। বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে আদুজিভিথাম (দ্য গোট লাইফ)। আর মুক্তির পরপরই মালয়ালম বক্স অফিসে চালকের আসনে সিনেমাটি। মুক্তির প্রথম দিন ভারতে প্রায় ৯ কোটি রুপি আয় করে এটি। বিশ্বব্যাপী আয় করে ১৬ কোটির মতো। প্রথম দিনে ১৬ কোটির বেশি আয়ের সঙ্গে ‘আদুজীভিথম’ পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় উদ্বোধনী আয়ের (বিশ্বব্যাপী) চলচ্চিত্র হয়ে ওঠে। এছাড়াও, এটি মালায়লাম সিনেমার ইতিহাসে সর্বকালের চতুর্থ বৃহত্তম উদ্বোধনী আয়ের সিনেমা হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। একাধিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেড় দশক ধরে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। প্রায় ১০ বছরের চিত্রনাট্য ও ৬ বছরের দৃশ্যধারণ শেষে ‘দ্য গোট লাইফ’ সিনেমাটির নির্মাণ শেষ হয়। ভারতের প্রখ্যাত লেখক বেনিয়ামিনের লেখা উপন্যাসকে উপজীব্য করে তৈরি হয়েছে এর চিত্রনাট্য। নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে কেরালা থেকে ভাগ্যের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমানো এক যুবকের জীবনকাহিনি উঠে এসেছে সিনেমায়। যেখানে সৌদি আরবের মরুভূমিতে অমানবিক দাসত্বের জীবন কাটাতে দেখা গেছে পৃথ্বীরাজ সুকুমারন অভিনীত চরিত্র নজীবকে। সারাদিনের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের সঙ্গে তাঁর দিন কাটে অর্ধাহারে। এমনকি তাকে গোসলের পানি দেওয়া হয় না। এ জীবন থেকে রেহাই পেতে নানা চেষ্টা করতে থাকে নজীব। ভারতের জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নির্মাতা ব্লেসি পরিচালিত সিনেমাটিতে পৃথ্বীরাজ ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন জিমি জিন-লুইস, অমলা পল, রিক অ্যাবি। এটি প্রযোজনা করেছে ভিজ্যুয়াল রোমান্স। সিনেমাটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন সুনীল কেএস, সম্পাদনা করেছেন শ্রীকর প্রসাদ।
শেয়ার করুন
এই ধরনের আরও সংবাদ