পাঁচটি বিসিএসের মাধ্যমে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
৪৩তম বিসিএস
এই বিসিএসে ক্যাডার পদে ১৭১০ জন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল।
৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান ছিল। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ১১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে গত ২৫ আগস্ট এই মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সম্প্রতি নতুন কমিশন গঠনের পর অধিকতর স্বচ্ছতার স্বার্থে আগের নেওয়া ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন এই বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব প্রার্থীর অর্থাৎ ১১ হাজার ৭৩২ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হবে।
৪৫তম বিসিএস
৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জনকে ক্যাডার পদে নেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে চিকিৎসা ক্যাডারে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১২ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রথম পরীক্ষক কর্তৃক মূল্যায়ন শেষে দ্বিতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়নের কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে ছিল। সম্প্রতি নতুন কমিশন গঠনের পর লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখার স্বার্থে এই লিখিত পরীক্ষার সব উত্তরপত্র তৃতীয় পরীক্ষককে দিয়ে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৪৬তম বিসিএস
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, আর সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে।
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে সমসংখ্যক অর্থাৎ ১০ হাজার ৬৩৮ জন যোগ করে সর্বমোট ২১ বাজার ২৭৬ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪৭তম বিসিএস
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ৪৮৭টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করার জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে অধিযাচন পাঠানো হয়েছে। এখনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।