সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

রোববার থেকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাবেন গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯ প্রদর্শন করেছেন

সংকটে থাকা ৬ ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কো‌টি টাকার তারল্য সহায়তা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব‌্যাংক। এর ফলে আগামী রোববার থেকে ব‌্যাংকগু‌লোতে টাকা পাবেন গ্রাহকরা। তবে চাহিদার চে‌য়ে বে‌শি অর্থ না তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব‌্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ‌্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।

বৃহস্প‌তিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব‌্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা জানান। এ সময় ব‌্যাংকগু‌লোর চেয়ারম‌্যানরা উপ‌স্থিত ছি‌লেন।

গভর্নর বলেন, ছয় ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার সহায়তা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে। আগামী রোববার থেকে কোনো গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা না পেয়ে ফেরত যাবেন না। গ্রাহকদের অনুরোধ, যেটুকু প্রয়োজন সে পরিমাণে টাকা তুলুন।

রোববার থেকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাবেন গ্রাহকরা

সিদ্ধান্ত প‌রিবর্তনের বিষয়ে গভর্নর জানান, আমি বলেছিলাম টাকা ছাপাব না। কিন্তু সেটা থেকে সাময়িকভাবে সরে এসেছি। বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সেই টাকা তুলে নিয়ে আসব। কিন্তু মনিটরিং পলিসি আগের মতো টাইট থাকছে। এখানে নেট মানি ক্রিয়েশন হচ্ছে না। একদিকে সহায়তা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বন্ডের মাধ্যমে তুলে নিচ্ছি। গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী এই সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আমাকে ডিপোজিটর ও মূল্যস্ফীতি দুটিই রক্ষা করতে হবে। টাকা ছাপাব না বলেছিলাম। কিন্তু মানুষের অবস্থানের কি পরিবর্তন হয় না?

আগের সরকারও টাকা ছাপিয়ে সহায়তা করেছিল, আবার দেওয়া হচ্ছে, তাহলে তফাৎ কী— এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, এখন টাকা চুরি বন্ধ হয়েছে। প্রত্যেকটা ব্যাংক ম‌নিট‌রিং করা হচ্ছে। ব্যাংক থেকে এখন আর টাকা চুরি হচ্ছে না। আগে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়ার পরও টাকা পাচার হ‌য়ে চলে যেত। কিন্তু এখন জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা ব‌্যাংকে ম‌নিট‌রিং করা হ‌চ্ছে। বোর্ড প‌রিবর্তন করা হয়েছে।

ব্যাংকারদের আন্দোলন ও প্রভাবশালীদের চাপ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, মব জাস্টিস মে‌নে নেব না। আমাকে কেউ চাপ দিলে চাকরি ছেড়ে চলে যাব। কিন্তু কোনো অনিয়ম বরদাশত করব না।

বিগত দিনে যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। নিদিষ্ট অভিযোগ না পেলে আমি নিজ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেব না। এখানে দলাদলি আছে। লাল, নীল দলের প্রতিনিধিত্ব না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হয়ে কাজ করেন।

খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, এতদিন প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র প্রকাশ হতো না। এখন সঠিক নিয়মে হিসাব হবে। এতে করে যদি খেলাপি ঋণ ২৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় তাহলেও কিছু করার নেই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ