রাজধানীর শাহবাগ ও রমনা মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত এ দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
(মঙ্গলবার) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি শাহবাগ থানার নাশকতার মামলায় ফখরুলসহ ৩৭ জন ও গত ১৮ নভেম্বর রমনা মডেল থানার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় ফখরুলসহ ৮৩ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর মির্জা ফখরুলসহ ৩৭ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। গত ১২ নভেম্বর আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন। এ মামলায় অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল।
এ ছাড়া ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও লাঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করে পুলিশ। পরে এ মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে গত ২৮ অক্টোবর এ মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ৮৩ জনের অব্যাহতি চেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি পুলিশ। গত ১৮ নভেম্বর আদালত এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন। এ মামলার অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু।