মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের জন্য উৎপাদিত বিদ্যুৎ ভারতে বেচতে ছাড় চায় আদানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮ প্রদর্শন করেছেন

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দেশটির সরকারের কাছে নতুন করে সুবিধা চেয়েছে ব্যবসায়ী গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ার। ঝাড়খণ্ডের ২ বিলিয়ন ডলারের কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর পরিশোধের ক্ষেত্রে দেশটির সরকারের কাছে নতুন করে এই ছাড় চেয়েছে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুতের বকেয়া পড়ে যাওয়ায় কিছুদিন আগে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বিক্রির জন্য ভারত সরকারের অনুমতি পেয়েছে আদানি পাওয়ার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বিক্রিতে কর পরিশোধের শর্ত বেধে দিয়েছে ভারত সরকার। আদানি পাওয়ার এই কর পরিশোধে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের সরকারের কাছে নতুন করে ছাড় চেয়েছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, গত আগস্টে ভারতের বিদ্যুৎ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আদানি পাওয়ারকে ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্র থেকে স্থানীয়ভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি করার অনুমতি দেয়। কিন্তু কেন্দ্রটি রাজ্যের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) হওয়ায় আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ বিক্রিতে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে বলে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড় না দিলে গড্ডা কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে আমদানি করা হিসাবে বিবেচনা করা হবে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের আমদানি কর পরিশোধ করতে হবে আদানিকে।

একই সঙ্গে কোম্পানিটি আমদানি করা কয়লার ওপর শুল্ক মওকুফ রাখার জন্যও অনুরোধ করেছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে আমদানি করা কয়লা ব্যবহার করে আদানি।

ব্লুমবার্গ বলছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই ছাড় সুবিধা না দিলে ভারতের দাম-সংবেদনশীল গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ই-মেইলে যোগাযোগ করা হলেও আদানি পাওয়ার কোনও সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন এই সংবাদমাধ্যম।

গড্ডায় অবস্থিত আদানির এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হয়, তা দেশটির মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বরের শেষে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশের কাছে আদানির বকেয়ার পরিমাণ ৭৯ কোটি ডলারে পৌঁছায়। তবে গত অক্টোবরে আদানি পাওয়ারকে বাংলাদেশ কিছু বকেয়া পরিশোধ করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ