হিমালয়ের নিকটবর্তী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। হাড়কাপানো এই শীতে পঞ্চগড়ের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কাবু হয়ে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের লোকজন। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরা শিশিরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সামনে তাপমাত্রার পারদ আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তেঁতুলিয়া অফিস জানায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর ছয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন ধরেই শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন তারা। আজ ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। শীতে হাত-পা অবশ হয়ে আসার উপক্রম।
এদিকে ঠান্ডা পড়ায় বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, উত্তরের হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস বইছে এবং গতকাল থেকে কুয়াশার আবরণে ঢাকা পড়েছে উত্তরের এ জেলা। আজ কুয়াশাটা আরও বেশি পড়েছে। তবে তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করছে। যা গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।