মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়ায় আবারও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টায় ফিরে যাচ্ছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমাস্টাররা। তারা ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। এতে লোকোমাস্টার সঙ্কটে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলা ট্রেনগুলো আবারও বিলম্বের শিকার হবে। আবারও ভোগান্তিতে পড়বেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, আইন অনুযায়ী— ৮ ঘণ্টার ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা বিশ্রাম নেওয়ার কথা। কিন্তু রেলওয়ের কর্মী সংকট থাকায় তারা ৫/৬ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে নেমে যান। রেলের কর্মীরা রেলের স্বার্থে কাজ করতে চান। কিন্তু রেলওয়ে তাদের স্বার্থের বিষয়ে আন্তরিক নয়। এর প্রতিবাদে অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে নেমেছেন তারা।
মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহালের দাবিতে গত ৩ বছর সময় ধরে আন্দোলন করছেন রানিং স্টাফরা। কয়েক দফায় অতিরিক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা এবং ধর্মঘট পালন করেছেন তারা। তবে বিভিন্ন সময়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ সচিব, রেলমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা।
মজিবুর রহমান বলেন, এটা নতুন কোনো বিষয় নয়, এটা ১৬০ বছর ধরে চলে আসছে। ১৬০ বছর ধরে চলে আসা একটা নিয়ম হুট করে বন্ধ করে দেবে, এটা তো রেলের কোনো স্টাফ মেনে নিতে পারে না। আমরা ওনাদের বারবার সময় দিয়েছি, বারবার আন্দোলন করেছি, বারবার প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু এবার আর কোনো কিছু করার সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কথা বলছি।
এ বিষয়ে রেলওয়ে মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নবনিযুক্ত এএলএম গ্রেড-২ এবং গার্ড গ্রেড-২ এর রানিং স্টাফদের নিয়োগপত্রের যে শর্ত ছিল তা প্রত্যাহার করা হবে। তার মানে তারা রেলের নানা সুযোগ সুবিধা পাবেন। শর্ত প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত তারা কর্মঘণ্টার ভিত্তিতে যে মাইলেজ অর্জন করবেন তা বকেয়া হিসেবে পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, বিভাগীয় পদোন্নতিপ্রাপ্ত রানিং স্টাফদের আইবাস সিস্টেমে বেতন ভাতাদি ও মাইলেজ যথানিয়মে পরিশোধের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও পেনশনের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে।