সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

ওটসের উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৮৬ প্রদর্শন করেছেন

ওটস আমাদের বেশ পরিচিত একধরনের শস্য। যা সাধারণত অনেকের সকালের নাস্তা। আবার বেকড পণ্য যেমন মাফিন, গ্রানোলা বার, কুকি ইত্যাদিতেও ওটস এর ব্যবহার লক্ষণীয়।

এটিকে সবচাইতে স্বাস্থ্যকর শস্য বলা হয়ে থাকে। গ্লুটেন মুক্ত ওটসে রয়েছে  ভিটামিন, খনিজ, আঁশ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ওটসের স্বাস্থ্যগত আরো গুণ আছে।

  • ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট এবং আঁশ।

আবার অন্যান্য শস্যের চাইতে এতে প্রোটিন ও ফ্যাটের পরিমাণও তুলনামূলক বেশি রয়েছে। সঙ্গে আছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ।

  • অ্যাভেনানথ্রামাইড নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এমন এক উপাদান যা নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ওটসে এই উপাদান প্রচুর পরিমাণে আছে।
  • ওটসের দ্রবণীয় আঁশে রয়েছে নানা রকম গুণাগুণ। এই উপাদান রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়াতেও সাহায্য করে।
  • হৃদরোগ বর্তমান বিশ্বে মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্তের উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা এই রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ওটসে আছে বিটা-গ্লুকোন আঁশ। এই উপাদান রক্তের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলকে অক্সিডেশন থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি ধমনী ও টিস্যুর প্রদাহ কমাতে পারে।

  • ওটসে থাকা দ্রবণীয় বিটা-গ্লুকান আঁশ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
  • ওজন কমাতেও ওটস বিশেষভাবে কার্যকর। প্রচুর পরিমাণে আঁশ সমৃদ্ধ ওটস খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে। এতে ঘনঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে আসে, যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • প্রাচীনকাল থেকেই মিহিভাবে পিষে রাখা ওটস শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একজিমাসহ ত্বকের যেকোনো সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন এই শস্য।
  • হজমের ক্ষেত্রেও ওটসের রয়েছে বিশেষ অবদান। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগ থেকেও মুক্তিতে সহায়তা করে ওটস।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ