ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ লিড নেয়। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজুল ইসলামের গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। প্রথমার্ধ সেই লিডেই শেষ হয়। ৭৫ মিনিটে গুয়াম ম্যাচে সমতা আনে। এরপর ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশের মইন গোল করলে আবারো লিড পায়। ইনজুরি সময়ে পুনরায় সমতা আনে গুয়াম।
দুইবার লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ম্যাচ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় কোচ মারুফুল হক হতাশাই ব্যক্ত করেছেন। তিনি পয়েন্ট হারানোর কারণ নিয়ে বলেন, ‘প্রথমে গোল পাওয়ার পর ছেলেরা ম্যাচটা সহজভাবে নিয়েছে। সেটাই মূলত কাল হয়েছেি’
অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে পরিপক্বকতার অভাব থাকতেই পারে। সেখানেই মূলত কোচদের কাজ করতে হয়। দল হয়ে উঠতে না পারার ব্যর্থতা কোচ মারুফ অবশ্য নিয়েছেন, ‘একটা টিম হয়ে খেলতে হয়। সেটার অভাব ছিল। এটা আমার ব্যর্থতা আমি তাদের কোচ হিসেবে বুঝাতে পারিনি।’
বাংলাদেশ সপ্তাহ তিনেক আগে দক্ষিণ এশিয়ার টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত টিম পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন সপ্তাহ পর এশিয়ান মঞ্চে ভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন। বাংলাদেশের ফুটবলের বাস্তবতা বেশ ভালোমতোই টের পাচ্ছেন কোচ ও ফুটবলাররা। তাই এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার ইচ্ছে ত্যাগ করেছেন কোচ, ‘আসলে এই পরিস্থিতি থেকে এখন আর মূল পর্বে খেলা সম্ভব নয়। বাকি ম্যাচগুলোতে ভালো খেলে টুর্নামেন্টের তৃতীয় পটে থাকার চেষ্টা করতে হবে।’
বাংলাদেশ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার বিপক্ষে ০-৪ গোলে হেরেছিল। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করল। টুর্নামেন্টের বাকি দুই ম্যাচ ভিয়েতনাম ও ভুটানের বিপক্ষে। ভুটান গুয়ামের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল।