ভারতের গুজরাট প্রদেশের দাহোদ জেলায় ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় ছয় বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছে অধ্যক্ষ। হত্যার পর স্কুল কম্পাউন্ডেই লাশ ফেলে রাখা হয়। এই খুনের অভিযোগে ৫৫ বছর বয়সি অধ্যক্ষ গোবিন্দ নাথকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা রাজদীপ সিং ঝালা গণমাধ্যমকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্কুল কম্পাউন্ড থেকে ছয় বছরের মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে তার। এরপর পুলিশ মামলা দায়ের করে ঘটনা তদন্তে ১০টি টিম গঠন করে।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানান, অধ্যক্ষ গোবিন্দ নাথের সঙ্গেই প্রতিদিন স্কুলে যেত ওই শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোবিন্দ বলেছিলেন, ঘটনার দিন শিশুটিকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে অন্য কাজে চলে গিয়েছিলেন।
তবে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের কাছে খুনের বর্ণনা দিয়ে দায় স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত গোবিন্দ নাথ। পুলিশ জানায়, স্কুলে যাওয়ার পথে মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ, তবে সে সময় মেয়েটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরেন গোবিন্দ। তখনই মেয়েটির মৃত্যু হয়।