কিউবার প্রধান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী বিপর্যয়ের কারণে দেশটির লক্ষাধিক নাগরিক এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) মাতানজাসের আন্তোনিও গুতেরেস বিদ্যুৎকেন্দ্রে একটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কিউবার বেশিরভাগ অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্যাপক প্রচেষ্টার পর কিছু অঞ্চলে বিশেষ করে, রাজধানী হাভানায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু হয়েছে।
তবে এখনও দেশের প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎহীন এবং কিছু অঞ্চলে ৩০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ নেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবি অনুযায়ী, রাজধানী হাভানার জোসে মার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেলের নেতৃত্বে জ্বালানি কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ বিপর্যয় সমাধানের জন্য তৎপর রয়েছেন।
কিউবায় প্রায়শই বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি দেখা যায়। যার মূল কারণ হচ্ছে ৪০ বছর আগে দেশটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অপর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ।
কিউবার জ্বালানি ও খনন মন্ত্রণালয়ের মতে, দেশটির বার্ষিক ৮ মিলিয়ন টন জ্বালানি প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে মাত্র ৩ মিলিয়ন টন দেশীয় উৎপাদন থেকে আসে।
অর্থনৈতিক অবরোধের কারণে কিউবাকে জ্বালানির জন্য ভেনেজুয়েলা, রাশিয়া এবং মেক্সিকোর ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কিউবা সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এবং ঘাটতি মোকাবিলায় ভাসমান বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভাড়া নেওয়া শুরু করেছে।
এদিকে দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেই জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দিয়াজ-কানেল। রোববার এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় তিনি এ কথা জানান। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি