মুলতান টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর পর এবার রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও জয় পেয়েছে পাকিস্তান। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে সফরকারী ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। তাতে ইংলিশদের বিপক্ষে ৯ বছর পর টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে পাকিস্তান।
এর আগে মুলতানে প্রথম টেস্টে রান পাহার গড়েও জেতা হয়নি পাকিস্তানের। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে একাদশে ৪ বদল আনে শান মাসুদের দল। আর তাতেই আসে সাফল্য লম্বা সময় পর ঘরের মাটিতে টেস্ট জয় পায় দলটি। আর এবার সিরিজ জয়ের স্বাদও নিয়েছে পাকিস্তান।
যেখানে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলী। সিরিজের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন শেষ দুই টেস্টে সুযোগ পাওয়া নোমান আলী ও সাজিদ খান। এই দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০ উইকেটের মধ্যে ৩৯টা নিয়েছেন তাঁরা দুজনে।
এ জয়ে ঘরের মাঠে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। সবশেষ ২০১৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়েছিল পাকিস্তান। সেবার পাকিস্তান জিতেছিল ২টি টেস্ট এবং ১টি হয়েছিল ড্র। এবার জিতল ২-১ ব্যবধানে।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭৭ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। তবে তাদের সুবিধা করতে দেয়নি নোমান-সাজিদ। এই দুই স্পিনারের বিষে নাকাল হয়েছে ইংলিশ ব্যাটাররা। অলআউট হয়ে গেছে ১১২ রানে। ফলে পাকিস্তানের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৩৬ রানের। যা মাত্র ৩.১ ওভারেই টপকে যায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১২ সালে দুবাইয়ে সর্বনিম্ন ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল তারা।আর এবার করল ১১২ রান। নোমান ৬টি ও সাজিদের শিকার ৪ উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সাজিদ নিয়েছিলেন ৬ উইকেট, নোমান নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ১৯টি উইকেটই নিয়েছেন তারা। একটি উইকেট আরেক স্পিনার জাহিদ মাহমুদ শিকার করেছেন। প্রথম টেস্টে সাজিদ-নোমান নিয়েছেন ২০ উইকেটের সবগুলো।
১৯৮০ ও ১৯৮৭ সালের পর ২০২৪ সালে দুবার বিপক্ষে দলের সব উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন পাকিস্তানের স্পিনাররা। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টসহ চতুর্থবার এমন রেকর্ড গড়ল তারা। প্রথম ইনিংসে ১৩৪ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন সৌদ শাকিল। দুই টেস্ট মিলিয়ে ১৯ উইকেট এবং ৭২ রান করে সিরিজসেরা পুরস্কার হাতে তুলেছেন সাজিদ।