সেপ্টেম্বরে বহুতল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন মালাইকার সৎবাবা কুলদীপ মেহতা। সেই সময়ে প্রথমে দেখা করতে এসেছিলেন সাবেক স্বামী আরবাজ খান। এদিকে নিজের কাজ ফেলে অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন সালমান। সেই সময় মালাইকা মুম্বাই শহরের বাইরে শুটিং করছিলেন। সালমানের এই পদক্ষেপকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন আরেক ভাই সোহেল খানের সাবেক স্ত্রী সীমা সাজদেহ।
আনন্দবাজার প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে বিচ্ছেদ হয় বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা ও অভিনেতা অর্জুন কাপুরের। বিচ্ছেদের রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই সৎবাবাকে হারান অভিনেত্রী। এই দুঃসময়ের খবর পেয়ে ছুটে আসেন সাবেক স্বামী আরবাজ খান। অন্যদিকে নিজের কাজ ফেলে মালাইকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন সালমান খানও। সেই সময় অভিনেত্রী মুম্বাই শহরের বাইরে শুটিং করছিলেন। তবে ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীর বিপদের দিনে পাশে এসে দাঁড়াতে বিলম্ব করেননি সুলতান। সালমানের এই পদক্ষেপকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন আরেক ভাই সোহেল খানের সাবেক স্ত্রী সীমা সাজদেহ।
পরিবারের প্রশংসা করে সীমা বলেন, দুঃসময়ে বা মানুষের প্রয়োজনে সালমানরা সব সময় পাশে থাকেন। এই বৈশিষ্ট্যই ওদের এমন একসঙ্গে করে রেখেছে। তিনি বলেন, ওই পরিবারে তিনিও সাবেক সদস্য। কিন্তু পরিবারের প্রত্যেকে মানুষের বিপদে এসে দাঁড়াতে দুবার ভাবেন না। ক্যামেরার সামনে বা প্রচারের স্বার্থে তারা এই কাজগুলো করেন না বলেও জানান সীমা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মালাইকা ও আরবাজ বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। তবে সৌজন্য বজায় রেখেছেন তারা। পরিবারের যে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন তারা। ২০১০ সালের ছবি ‘দাবাং’-এ আইটেম গান ‘মুন্নি বদনাম’-এ এক পর্দায় দেখা গিয়েছিল সালমান ও মালাইকাকে। তবে ভাই আরবাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কখনই মালাইকার সঙ্গে দেখা যায়নি সালমানকে। কিন্তু ভাইয়ের সাবেক স্ত্রীর বিপদে এসে পাশে দাঁড়াতে তিনিও এসেছেন।