বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নূর উদ্দিন অপু সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় খালাস পেয়েছেন।
তিনি ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় মঙ্গলবার তাকে খালাস দেয় ঢাকার সন্ত্রাসদমন বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, এই মামলাটি অসত্য।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সাবেক ছাত্রদল নেতা নুরউদ্দিন অপুসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে র্যাব-৩ এর তৎকালীন ডিএডি ইব্রাহিম হোসেন।
২০২১ সালের ১৩ জুন চার্জশিট দেওয়া হয়। অবশেষে সাক্ষ্য-প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত করার কোন উপাদান না পাওয়ায় অপুকে খালাস দিয়েছে আদালত।
আইনজীবীরা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত হয়ে এ মামলা করে। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়। অসুস্থর গ্রাউন্ডে জামিন চাওয়া হলেও দীর্ঘদিন তাকে জামিন দেওয়াও হয়নি। অবশেষে ট্রাইব্যুনাল তাকে খালাস দিলো। মিয়া নুর উদ্দিন অপু ছয় বছর সাত মাস কারাগারে বন্দি ছিলেন। গনঅভ্যূথানে শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৬ আগস্ট জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হন।
তার আইনজীবীরা জানান, জনপ্রিয় নেতা মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে ছয় বছর সাত মাস মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ রেখে তার ওপর চলেছে হাসিনা সরকারের সর্বোচ্চ মহলের প্রতিহিংসাপরায়ণতার চরম হিংস্রতা।গুরুতর অসুস্থ অপুর জীবন হুমকির মুখে ফেলা হয়। কথিত মানি লন্ডারিং ও নিবর্তনমূলক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয় অপুকে। সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা মামলায় অপুকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হলেও তার কোনটিই প্রমাণ করতে পারেনি শেখ হাসিনার আদালত।