পৃথিবীর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা বেতন কত পান, তাদের অন্যান্য সুবিধা কী—এ নিয়ে কৌতুহল মানুষের মাঝে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট কত টাকা বেতন-ভাতা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীরাই বা কী কী সরকারি সুবিধা নেন—এটিও জানতে আগ্রহী অনেকে?
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতের জনপ্রিয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—আমেরিকার কোড অনুযায়ী, বছরে বেতন বাবদ ৪০০,০০০ মার্কিন ডলার পান প্রেসিডেন্ট। যে অঙ্কটা বাংলাদেশি টাকায় ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার বেশি। মাসে-মাসে সেই টাকা তাকে দেওয়া হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন হল ৩৩,৩৩৩ মার্কিন ডলার। যে অঙ্কটা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বেতন পরিবর্তিত হয়নি। ২০০১ সালের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের বেতন ছিল ২০০,০০০ মার্কিন ডলার বছরে। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তারা বেতন হিসেবে বছরে ২০০,০০০ মার্কিন ডলার পেতেন। যা তারপর এক লাফে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধু বেতনই নয়, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও পেয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই সুযোগ-সুবিধার তালিকায় আছে বার্ষিক ৫০,০০০ মার্কিন ডলার ভাতা। যে ভাতার ওপরে কোনো কর দিতে হয় না। তাছাড়া ট্র্যাভেল ভাতা হিসেবে বছরে ১,০০,০০ মার্কিন ডলার, বিনোদন ভাতা হিসেবে বার্ষিক ১৯,০০০ মার্কিন ডলার পেয়ে থাকেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রধানমন্ত্রী ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা সংশোধনী আইন-২০১৬ তে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর মাসিক বেতন ও ভাতা ৫৮ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া তিনি মাসে বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা পান আরও ১ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে অন্যান্য খরচের জন্য দৈনিক ভাতা দেওয়া হয় আরও তিন হাজার টাকা। তার সব বেতন ও ভাতাই করবিহীন।
অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বেতন হিসেবে কত টাকা পান? একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি মাসে ভারতীয় মুদ্রায় ১.৬৬ লাখ টাকা বেতন পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বেসিক পে ৫০,০০০ টাকা। এক্সপেন্স ভাতা বাবদ ৩,০০০ টাকা দেওয়া হয়। সংসদীয় ভাতা হিসেবে ৪৫,০০০ টাকা এবং দৈনিক ভাতা হিসেবে ২,০০০ টাকা পান প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সরকারি বিমান, সরকারি গাড়ির মতো সুবিধা পান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।