পারমাণবিক শক্তিধর কোনো দেশের সমর্থন নিয়ে রাশিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হলে পাল্টা জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে মস্কো। রাশিয়ার পরমাণুনীতি হালনাগাদ করে এমন সুযোগ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নীতিতে বদল এনেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর রয়টার্স ও তাসের।
এমন এক সময় রুশ পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন আনা হলো, যখন ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। মনে করা হচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ওই অনুমতির জবাব দিতেই নিজেদের পরমাণুনীতিতে পরিবর্তন এনেছে ক্রেমলিন।
কোন কোন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার নেতারা পারমাণবিক হামলার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারবেন, তা উল্লেখ করা হয়েছে হালনাগাদ করা পরমাণুনীতিতে। বলা হয়েছে, প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও অন্যান্য আকাশযানকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন রুশ নেতারা। এ ছাড়া কোনো জোটের সদস্যদেশ যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালায়, তাহলে পুরো জোটই এই আগ্রাসন চালিয়েছে বলে বিবেচনা করতে পারবে মস্কো।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার শেষ উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যখন এটি ব্যবহার ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না।
আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মস্কোকে মোকিবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা পেয়েছে কিয়েভ। এর মধ্য দিয়ে ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর সবচেয়ে গুরুতর সংঘাতের মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বী পশ্চিমা দেশগুলো।