বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আমির খানকে বলা হয় পারফেকশনিস্ট অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে প্রগতিশীল, স্পর্শকাতর ও আবেগী মানুষ বলেও নামডাক রয়েছে তার। সেই মানুষের এমন আচরণ কেন? জ্যোতিষী ভূমিকা নেন, সেই সঙ্গে যার হাত দেখেন, তার তালুতেই থুতু দেন। কেন এমন অদ্ভুত কাণ্ড করেন?
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, বলিউড নাকি নায়কসর্বস্ব ইন্ডাস্ট্রি। পারিশ্রমিক থেকে পর্দায় পাওয়া সময়— সব জায়গাতেই নাকি নায়কদের আধিপত্য চলে। এ ছাড়া বলিউডে নাকি খানদের একচেটিয়া রমরমা প্রাধান্য পায়। এবার অভিনেতা আমির খানের এক অদ্ভুত স্বভাবের কথা প্রকাশ্যে এলো। তিনি নাকি তার সহ-অভিনেত্রীদের হাত দেখার ছুঁতোয় হাতে থুতু ছেটান।
জানা গেছে, আসলে আমিরের এই স্বভাব নাকি বহু পুরোনো। ‘জো জিতা ওয়াহি সিকান্দার’ ছবির সময় থেকেই নাকি এমনটি করে আসছেন এ অভিনেতা। বছর কয়েক আগে একটি চলচ্চিত্র উৎসবে এ ছবির কলাকুশলীদের উপস্থিতিতে আমিরকে নিয়ে এহেন মন্তব্য করেন ছবির নৃত্য পরিচালক ফারাহা খান। ফারাহার এই দাবি মেনে নিয়ে এমন কাজ করার কারণ পর্যন্ত জানালেন বলি পারফেকশনিস্ট।
অভিনেতা বলেন, আসলে আমি তাদের হাত দেখার নাম করে হাতে থুতু দিলেই সেই নায়িকার ভাগ্য খুলে যায়। যাদের সঙ্গে এমন করেছি, তারা সবাই আজ এক নম্বরের নায়িকা।
সেই সময় দর্শক আসনে বসেছিলেন আমিরের ‘দঙ্গল’ ছবির সহ-অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ। দর্শকাসনে বসে তিনি সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে থাকেন। আমির যে তার সঙ্গেও এমন কাণ্ড করেছেন, সে কথাও জানিয়েছেন সানা।
এ ছবির পর থেকে আমিরের সঙ্গে ফাতিমার সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়ায়। শোনা যায়, অভিনেতার দ্বিতীয়বার বিবাহবিচ্ছেদের নেপথ্য কারণ এ অভিনেত্রী। আমিরের বাড়িতে একটা সময় অবাধ যাতায়াত ছিল তার। তবে আমিরের মেয়ে ইরা খানের বিয়ের সময় তার অনুপস্থিতি চোখে পড়েছে সবার।
সামাজিক মাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই দেখা যায়, বেশিরভাগ সময় একা একা ঘুরছেন কিংবা কাজে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেত্রী।