সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

তোরা ধর্ম-রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া করে মর, আমি প্রেম করছি: কবীর সুমন

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৮ প্রদর্শন করেছেন

ওপার বাংলার কবি, গীতিকার ও নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সরাসরি না লিখলেও বোঝা যাচ্ছে, তিনি কবিতাটি লিখেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে। কবিতার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অনেক লেখক, কবি ও শিল্পী এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বাদ যাননি উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কবীর সুমনও। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বারবারই সরব। নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে নিজের মত দেন। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়েও নানা বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন এই শিল্পী। সর্বদা শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের সঙ্গে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে এসেছেন। শনিবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কবিতার চরণে তিনি ফেলানী হত্যার প্রসঙ্গ টেনে মন্তব্য করেন।

কবীর সুমন নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার-বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, কিসের কার অবমাননা হচ্ছিল তখন?’ সুমন এই লেখায় কারও নাম নেননি তবে অনেকেই মনে করছেন তিনি মূলত এটি লিখেছেন শ্রীজাতকে উদ্দেশ্য করেই। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে সেটা লিখেছেন অনেক অনুসারী।

গতকাল রাতে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে কবীর সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনায় ছিল। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, ‘আকারে বড় দেশগুলো মনে করে তারা তাদের আকারে ছোট প্রতিবেশীদেশগুলোর মুরব্বি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সে কিউবা, হাইতির বড়দা। পুয়ের্তো রিকোকে তো বড়দা অঙ্গরাজ্য মনে করে। ভারত মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপালের বড়দা।’

‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া করে মর। আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব।’ এভাবে গতকাল আরও একটি পোস্ট করেছিলেন সুমন।

জুলাই অভ্যুত্থান–পরবর্তী সময়ে কেবল নিজেই যে লিখেছেন তা নয়, বাংলাদেশি লেখক, শিক্ষকসহ অনেকের লেখাও শেয়ার করেছেন তিনি। তিন দিন আগে একটি লেখার কাজ শেষ করেছেন কবীর সুমন। লেখার সারকথা ‘ঘৃণার ফাঁদে পা দেবেন না’।

এর আগে গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশের ফরিদপুরের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন কবীর সুমন। সেই ছবিটি শহিদ মিনারের। যেখানে দেখা যাচ্ছে শহিদ মিনারের পাদদেশে লেখা, ‘রুখে দাও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এই দেশটাজুড়ে’।

৭ আগস্ট কবীর সুমনের আরেকটি পোস্ট আলোচিত হয়। সেই লেখার শুরুতে তিনি লিখেছিলেন, ‘কোনো কোনো ভারতীয় বাঙালি বাংলাদেশের নানা ঘটনা সম্পর্কে এমনভাবে লিখছেন যেন গণজাগরণটা তাদের মত, উপদেশ নিয়ে করা উচিত ছিল এবং বাংলাদেশকে এখন কোন পথে কীভাবে চলতে হবে, সেটাও বাংলাদেশের জনগণকে এই ভারতীয় বাঙালিদের তুষ্ট করেই ঠিক করতে হবে।’

দীর্ঘ সেই পোস্টটি তিনি শেষ করেন এভাবে, ‘আমার মনে হয়, আমরা যেহেতু বাংলাদেশে থাকি না, বাংলাদেশের অনেক কিছুই জানি না, তাই আমাদের বাকসংযম শ্রেয়, বিশেষ করে কোনো ঘটনা সম্পর্কে চরম মত দেওয়ার ব্যাপারে।’

৬ আগস্ট আয়নাঘরের দুর্বিষহ জীবন নিয়ে আরেকজনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন তিনি। একই দিন ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ নামে আরও একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন কবীর সুমন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ