নাটোরের সিংড়ায় হাওয়া খাতুন (৮) নামের এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সৎমা নুপুর বেগমের বিরুদ্ধে এ হত্যার অভিযোগ এনে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। কুপিয়ে হত্যার পর মেয়ের লাশ পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়া হলে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
সোমবার সকাল ৮টায় উপজেলার দীঘল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিশুটির পিতা হাফিজুল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাটোর সদরের গোকুল নগর গ্রামের দিনমজুর হাফিজুল ইসলাম তার মেয়ে হাওয়া খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রী নুপুর বেগমকে নিয়ে সিংড়া উপজেলার দীঘল গ্রামের জনৈক নজরুল ইসলামের পুকুর পাহারা দেওয়ার জন্য পুকুর পাড়ে বসবাস করতেন। সোমবার সকালে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার পর পুকুরের পানিতে ফেলে দেন সৎমা নুপুর বেগম। তার মেয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে গেছে বলে এলাকার লোকজনকে ডেকে আনেন নুপুর বেগম। পরে পানি থেকে লাশ উঠিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। আর এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী হাফিজুল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
সিংড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার সৎমায়ের কথাবার্তা সন্দেহজনক। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যা মনে হচ্ছে।