সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন

জাতীয় পার্টির বেশে বুদ্ধিজীবী দিবসের শ্রদ্ধায় আ.লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪ প্রদর্শন করেছেন

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খানের নেতৃত্ব শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ছাত্র অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাশেদ খান বলেন, আমরা গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা দেখলাম, জাতীয় পার্টির লোকজনও শ্রদ্ধা নিবেদন করলো। কিন্তু এরা জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ।

আ.লীগ জাতীয় পার্টির বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জিএম কাদের বলেছেন, আমাদের সমাবেশে যদি আ.লীগের কর্মীরা আসে, আমাদের করার কিছু নাই। উন্মুক্ত সমাবেশে তারা আসতেই পারে।

তিনি এও বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আ.লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সুষ্ঠু হবে না। তার মানে কী? জিএম কাদের আ.লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন। আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ নাই? কীভাবে জাতীয় পার্টি ঢুকলো? সারা দেশে তো জাতীয় পার্টির ১০০ জনও সক্রিয় কর্মী নাই। এর আগে তারা লোকভাড়া করে সমাবেশ করেছে। অথচ আজকে ৫০০-৬০০ লোক নিয়ে এসেছে। এগুলো কেউ জাতীয় পার্টি না, এরা আ.লীগ।  এদেরকে গ্রেফতার না করে, কেন ঢুকতে দেওয়া হলো?

আমাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আ.লীগ ও জাপা স্মৃতিসৌধে যেতে পারবে না। তাদেরকে সুযোগ দিলে তারা ধীরে ধীরে ফিরে আসবে। এখনই তাদের টুঁটি চেপে ধরতে হবে। গণহত্যার বিচারের আগে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম তারা করতে পারবে না। আর আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে কেন এখনো নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না? এই দেশকে তারা ধ্বংস করেছে। ২০০০ শহীদ, ৩০ হাজার আহত, এদের রক্তের সাথে কোনো বেইমানি সহ্য করা হবে না।

আরেকটি কথা বলতে চাই, ৭১ এর সাথে ২৪ কে মিলিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ছোট করবেন না। ৭১০-এ একটি ভূখণ্ডের জন্য যুদ্ধ হয়েছে। এই লড়াইয়ের সাথে অন্য কোনো কিছুর তুলনা বেমানান। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারা যে দলই করুক না কেন, যে আদর্শেরই হোক না কেন, তাদের নিয়ে বিতর্ক করা যাবে না। যারা জনগণের পক্ষে এবং কোনো অন্যায় করেনি তাদেরকে আজীবন শ্রদ্ধা করতে হবে।

সরকারকে বলবো, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আ.লীগ হাইকমান্ডকে গ্রেফতার না করে কীসের বিচার করবেন?  বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবে না। আগে রাঘববোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহ- স্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সম্পাদক নাজমুল হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাহিদ উদ্দিন তারেক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পিসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ইউনিট নেতাকর্মী, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি রাহুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সকাল আহমেদ, সদস্য মো. স্বপন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিঠু প্রমুখসহ নেতাকর্মীরা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ