কালীগঞ্জে চাঁদার দাবিতে ড্রাম ট্রাকে অগ্নিসংযোগের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সোহেলকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার সোহেল বর্তুল এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে। তিনি এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত।
এজাহার ও বাদীর ভাষ্য- রূপগঞ্জের রোহিলা এলাকা থেকে ১ জানুয়ারি দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাটিবোঝাই একটি ড্রাম ট্রাক কালীগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বাজারে যাওয়ার পথে বর্তুল এলাকা অতিক্রম করার সময় সোহেল ও তার ছেলে শান্ত (২৫) এবং অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মিলে গতিরোধ করে। ওই সময় ড্রাম ট্রাকচালক মো. ফরিদ ট্রাক থামানোর সঙ্গে সঙ্গে সোহেল তার কাছে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ট্রাকের চাবি কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে চাঁদার টাকা দিতে চাপ প্রয়োগ করে এবং ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করে। ওই সময় চালকের সঙ্গে কোনো টাকা না থাকায় বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে বলে। এভাবে রাত প্রায় সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ওই স্থানে গাড়ি আটকে রাখে। পরে চাঁদার টাকা না পেয়ে একপর্যায়ে পেট্রল দিয়ে ড্রাম ট্রাকে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় সহযোগীসহ সোহেল ও শান্ত।
এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে ড্রাম ট্রাক মালিকের প্রতিনিধি হিসেবে রূপগঞ্জের বেলদী এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মারুফ হোসেন বাদী হয়ে সোহেল, শান্ত এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জে মালিবন্দ এবং রূপগঞ্জের রহিলা এলাকার কৃষিজমি থেকে প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে মাটি দস্যু একটি চক্র। ওই মাটি বর্তুল এলাকায় হয়ে পরিবহণ করতে নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার অঘোষিত বিধান জারি করেছেন সোহেল। চাঁদার টাকা না দিলে মাটি পরিবহণে তিনি বাধা দেন। এছাড়াও এলাকার মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে দিয়ে থাকেন সোহেল ও তার ছেলে শান্ত।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন বলেন, গ্রেফতার সোহেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।