ইউরোপের দেশ মন্টিনিগ্রোতে ভয়াবহ বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন শিশুও রয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ৪ জন। এই হামলার ঘটনায় হামলাকারী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী ৪৫ বছর বয়সি আলেকজান্ডার মার্টিনোভিচ। তিনি সেটিনজে শহরে নিজ বাড়ির সামনে আত্মহত্যা করেছেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্টিনিগ্রোর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেছেন- পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি। তবে প্রথমেই তিনি মারা যাননি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মার্টিনোভিজেচর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রী। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
বুধবার বিকালে দেশটির রাজধানী পডগোরিকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সেটিনজের একটি রেস্তোরাঁয় হামলা চালান মার্টিনোভিচ। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যান তিনি। এ হামলায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে রেস্তোরাঁর ভিতরে গুলি ছোড়েন মার্টিনোভিচ। এ সময় তিনি মদ্যপ ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর পৃথক আরও তিন স্থানে তার বন্দুকের গুলিতে দুই শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই অবৈধভাবে অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। মূলত বলকান অঞ্চলের ছোট রাষ্ট্র মন্টিনিগ্রোতে এ ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল বলে জানিয়েছে বিবিসি।