বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২১ অপরাহ্ন

২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ০ প্রদর্শন করেছেন
আগামী আড়াই বছরে ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করতে চায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নয়, আপাতত ৫টি সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অগ্রাধিকার দেবে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার মাল্টিপারপাস সম্মেলন কক্ষে মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানান বেজা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
তিনি জানান, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকা করার কথা ছিল বেজার। তবে আপাতত সরকারি পাঁচটি এলাকার কাজ করবে সংস্থাটি। যা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ করা হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘১০০ ইকনোমিক জোন নির্মাণের জায়গা থেকে আমরা সরে যাচ্ছি না। তবে এখন আমাদের মনে হচ্ছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা ১০টি ইকনোমিক জোনের কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ করতে পারলেই যথেষ্ট হবে। এই ৫টা এলাকা সম্পূর্ণভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন হয়ে গেলে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে আমরা বাকি জোনগুলোতে কাজ শুরু করবো। যেসব এলাকায় মানুষ পিছিয়ে আছে, সেখানে বেজার কাজ হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও কর্মসংস্থানর সৃষ্টি করা। বেজার কাজ মুনাফা করা নয়’।
এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা এখনো সরকারি এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে পারিনি। তবে আমরা পরিকল্পনা করেছি, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা করবো। এছাড়া বেসরকারি ইকনোমিক জোনের জন্য রোডম্যাপ করা হবে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী বেসরকারি ইকনোমিক জোনগুলোতে যোগাযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হবে । তবে বেসকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করা হবে না ’।
আরেক এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে আড়াই লাখ বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা আছে। কিন্তু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয় না। তবে আগামী দুই বছরের মধ্যে এই পাঁচটি ইকনোমিক জোনে সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। কিন্তু আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা আছে।
এসময় বেজার ওয়েবসাইট থেকে ৬০টি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু আছে এবং আরও সার্ভিস চালুর অপেক্ষায় আছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বেজার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার কাজ করছি। সেই সঙ্গে কাগজ মুক্ত ডিজিটাল অফিস করার প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা পৌঁছানোর জন্য কাজ করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ