কক্সবাজারের টেকনাফ নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে আড়াই লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। যার মুল্য সাড়ে সাত কোটি টাকা। তবে এ অভিযানে মাদক চোরাচালানীদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
১২ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করে জানান, টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ দমদমিয়া ডাবল জোড়া নামক এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে আসতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কর্তৃক গোপন তৎপরতা এবং নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়। ১২ জানুয়ারি দমদমিয়া বিওপির ৫টি নৌ টহলদল নাফ নদীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে ভোর রাতে কর্কশিট দ্বারা অভিনব পন্থায় তৈরি ভেলার সাহায্যে দুইজন ব্যক্তিকে মাদক নিয়ে নাফ নদী সাঁতরে পারাপারের সময় বিজিবির বিশেষ টহলের মুখোমুখি হয়। অভিযান দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারী দলটি মাদক বহনের জন্য ব্যবহৃত ভেলাটি ফেলে রাতের আঁধার এবং ঘন কুয়াশার আড়ালে নদী সাঁতরে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের অপর পার্শ্বে পালিয়ে যায়। নৌ টহলদল তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া ভেলা হতে দুইটি মাদক ভর্তি বস্তা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত চটের বস্তার ভিতর হতে ২৫টি ইয়াবা ভর্তি প্যাকেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার পিস। পার্শ্ববর্তী বিওপি সমূহ হতে বিশেষ টহলদল কর্তৃক উক্ত এলাকায় সকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদের শনাক্ত করার জন্য গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।