সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন

জেরার মুখে দায় স্বীকার করলেন সাইফের হামলাকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৬ প্রদর্শন করেছেন

হামলার তিনদিন পর গত রোববার ভোরে সাইফ আলি খানের বাড়ি থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ধরা পড়েন সন্দেহভাজন হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। তাকে ওই দিনই মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আদালতে হাজিরা করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরার মুখে অবশেষে দোষ শিকার করেছেন অভিযুক্ত শরিফুল। তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ আমিই করেছি’। তার বয়ান অনুযায়ী, পটৌদী প্যালেসে ডাকাতির চেষ্টা তিনি-ই করেন। সাইফের হামলাকারীও তিনি-ই।

মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই ভারতে বসবাসকারী শরিফুল গত পাঁচ মাস ধরে এলাকার বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন। ইতোমধ্যে ওরলি এবং ঠাণে এলাকার দু’টি রেস্তরাঁ-পাব ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথা জেনেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে ওরলি এলাকার রেস্তরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল শরিফুলের বিরুদ্ধে। সেই কারণে তার চাকরিও গিয়েছিল গত আগস্টে। শনিবার দুই রেস্তরাঁয় হানা দেয় প্রশাসন। সাইফের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও ওই দুই রেস্তরাঁ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পুরনো সাফাইকর্মীদের।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওরলির ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার জানান, যে ঠিকাদারের কাছ থেকে তারা কর্মী ভাড়া নেন সেই ঠিকাদারকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ তারা জানতে পেরেছেন, চুরির অভিযোগে শরিফুলকে বরখাস্ত করার পরও ওই ঠিকাদার তাকে কর্মী আবাসনে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন। শনিবার পুলিশ তদন্তে যাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয় রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রসঙ্গত, রোববার ভোরে ঠাণে থেকে গ্রেফতার হন শরিফুল। বান্দ্রা আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ শেরানির দাবি, তার মক্কেল যে বাংলাদেশের নাগরিক, এমন কোনো প্রমাণ পুলিশের হাতে নেই। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে হত্যা বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো কোনো অভিযোগও পুলিশ আনতে পারেনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ