কক্সবাজারের টেকনাফে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় নেজাম উদ্দিন ওরফে মেহেবুব নামে এক বাংলাদেশি দালালকে আটক করা হয়েছে। তার বাড়ি টেকনাফের বাহারছড়া হাজম পাড়া। আর রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকায় বসবাস করেন।
বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ নৌঘাট এলাকা দিয়ে তাদেরকে পাচারকালে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১১ নারী, ৫ শিশু ও ২ পুরুষ রয়েছে। বাকি একজন দালাল।
পুলিশে হেফাজতে থাকা উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা নুরুল আলম (১৬) বলেন, কুতুপালং ক্যাম্প থেকে চাকরির কথা বলে টেকনাফ নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকায় দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে দালালরা হাত-পা বেঁধে গহীন পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ৯ দিন রাখে, আজ মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে নৌকায় তোলার সময় পুলিশ গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভের কচ্ছপিয়া মেরিন ড্রাইভ দিয়ে নারী-শিশু সাগর পথে রোহিঙ্গাদের একটি দল মালয়েশিয়া পাচার হচ্ছে, এমন সংবাদে সাগরপাড়ে অভিযান পরিচালানা করা হয়। এ সময় ১৮ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশি এক দালালকেও আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
ওসি বলেন, উদ্ধার রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের লোকজন নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে মালয়েশিয়া পাচারের কথা বলে নিয়ে আসে। পরে বুধবার রাতে সাগরপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে তুলে দিতে দালান চক্রের লোকজন তাদের জড়ো করেছিল।
গ্রেফতার ব্যক্তিসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।