ফ্যাশন ডিজাইনার পরমা ঘোষের পোশাকে মডেল-অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। পরমার তত্ত্বাবধানে মডেল স্বস্তিকা সমুদ্রতটে আঁচল উড়িয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিলেন। এই পোশাকশিল্পী-অভিনেত্রীর জুটি নববর্ষে তুলে ধরলেন নতুন সাজ। জ্যাকেট, টপ, টিউনিকে নিজেকে মেলে ধরলেন স্বস্তিকা।
পুদুচেরিতে শুটিং ফ্লোরে যা যা হলো, তা নিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার পরমা বললেন, আমি এতদিন স্বস্তিকার আড়ালে যে কথা বলতাম, আজ প্রকাশ্যে তা কথা বলছি। তিনি বলেন, পরমার পোশাকে স্বস্তিকাকে যতটা সুন্দর লাগে, অন্য কোনো পোশাকে ওকে ততটা সুন্দর লাগে না। এটা আমার পক্ষপাত, ভালোবাসা ও হিংসুটেপনার জায়গা থেকে বলছি। ওকে তো সুন্দর দেখায়ই, আমার জামাকাপড়গুলো আরও সুন্দর হয়ে যায় বলে জানান পরমা ঘোষ।
স্বস্তিকার সাজ নিয়ে যা বললেন পরমা। সমুদ্রতটে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাচ্ছেন যেন। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে এই নির্মল হাসি ও প্রাণোচ্ছল ব্যক্তিত্ব আর প্রকৃতির আমেজের মেলবন্ধন দেখে খানিক স্বস্তি মিলবে বইকি।
যেভাবে সমুদ্রতটে হালকা মেজাজে স্বস্তিকা, তাতে হলুদ শাড়ির সঙ্গে সঙ্গত করেছে বেগনি রঙের ব্লাউজ। পিঠের দিকে দক্ষিণী হরফে লেখা একটি শব্দ। কাঁধে এক কাঁদি কলা, চুলে হলুদ ও বেগনি ফুলের সাজ। নতুন বছরে অভিনব সাজে অভিনেত্রী। কালো প্রিন্টেড শাড়ির সঙ্গে বেজ রঙের ব্লাউজ। অন্য ধরনের ডিজাইনের বদৌলতে পিঠের দুদিকের শরীরী হিল্লোল যে কোনো পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তুলতে পারে।
কাচের চুড়ি, খোঁপায় ফুল আর স্বস্তিকা যেন এক অনন্য। পহেলা বৈশাখে বাড়ির সাধারণ অনুষ্ঠান। হালকা রূপটান আর খোঁপায় বেল ও জুঁই ফুল। পুদুচেরিতে শুটিং হওয়ায় ফুলের প্রাচুর্য। সে ফুলের বর্ণে-গন্ধে মাতোয়ারা শুটিং ফ্লোর।
ব্যক্তিত্ব আর সৌন্দর্যের মিশেলে অভিনেত্রী। অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা থাকলেও অনেক সময় পছন্দসই পোশাক মেলে না। যেমন ওয়েস্ট কোট, বেনারসি কাপড়ের জ্যাকেট ইত্যাদি। স্কার্ট, ব্রোকেড টাই, আর টিউনিকের রমরমা ছিল নব্বইয়ের দশকে। সময়ের প্রবাহে সেই ‘গার্ল নেক্সট ডোর’ সাজ হারিয়ে যায়।
অনলাইন শপিংয়ে পছন্দের পোশাক মেলে না। খুব সাধারণ প্রসাধনী দিয়ে স্বস্তিকা অন্য লুক দিতে পারেন। স্টাইলিস্টের প্রয়োজন পড়ে না স্বস্তিকার জন্য— এমনই মনে করেন পরমা ঘোষ।
আর স্টাইলিস্টের প্রয়োজন পড়ে না স্বস্তিকার শুটিংয়েও? অভিনেত্রী বাড়িতে থাকা গহনা, কাচের চুড়ি, ফিতে, টিপ ও ফুল দিয়ে অনন্যভাবে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছেন। যেন ছোটবেলার সাজ আরও একবার ফিরে এলো।
পরমা বলেন, আমাদের সময়ে যা পরতাম, তা-ই নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। নিজে যা কিছু পরতে চাই, আমার বন্ধুরা যা কিছু পরতে চায়, তা-ই বানিয়েছি। কখনো তো আমরা নিজেদের জন্য কিছু বানাই না।