শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করায় গনমাধ্যম কর্মীকে আঘাত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫
  • ৭১ প্রদর্শন করেছেন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক কর্তৃপক্ষের পরিচালনায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে অনিয়ম ও অবৈধভাবে নকশা বহির্ভূতভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ভবনে উচ্ছেদ অভিযান কালে সংবাদ সংগ্রহ করার কারণে গনমাধ্যম কর্মীকে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন সহ মেরে ফেলতে চেষ্টা করা হয়েছে।

গত রবিবার (১৮ মে, ২০২৫ ইং) রাজধানীর মাতুয়াইল নিউটাউন এলাকায় নিয়মনীতি অমান্য করে গড়ে তোলা বহুতল নির্মাণাধীন ভবনে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বেলায়েত হোসেন ও সাব জোন – ৬/২ এর এলাকার দায়িত্বরত অথরাইজড অফিসার জান্নাতুল মাওয়া এর যৌথ পরিচালনায় ডেমরা থানাধীন ডগার মৌজার নিউটাউন এলাকায় নিয়মনীতি অমান্য করা বেশ কয়েকটি ভবনের অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ভবনের আংশিক অপসারণ করে ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযানে ডিপিডিসির মাধ্যমে প্রায় ১২টি ভবনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।

সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ডগাইর মৌজার অভিযান শেষ করে জোকা মৌজায় অবস্থিত অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ভবনে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিউটাউন এলাকায় অভিযানের শেষ সময়ে যখন রাজউক কর্মকর্তাগণ গাড়িতে উঠে দ্বিতীয় অভিযানের জন্য রওয়ানা করেন তাঁদের গাড়ির পিছনে থাকা গনমাধ্যম কর্মী ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করে মোটরসাইকেলে উঠার পর পিছনে থাকা মক্কা টাওয়ার ও জমজম টাওয়ার সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবনের মালিকরা ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করতে বাধা দেন ভবন মালিকদের গনমাধ্যম কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। ভবন মালিকদের সরকারি মিডিয়া ভুক্ত জাতীয় পত্রিকার কর্মরত আছেন বলে আইডি কার্ড দেখান। ভবন মালিকরা আইডি কার্ড দেখার পর এক টাকার পত্রিকা ভূয়া পত্রিকা বলে গনমাধ্যম কর্মীর উপর আঘাত শুরু করেন তাঁকে টেনে হিচরে নিউটাউন এলাকার সোসাইটি এর অস্থায়ী কার্যালয়ে ঢুকিয়ে লাঠি ও অফিসে থাকা চেয়ার উঠিয়ে মারধর শুরু করেন। এসময় প্রানে বাচার জন্য আকুতি মিনতি করলেও তারা শারীরিক নির্যাতন আরো বাড়িয়ে দেয়। গনমাধ্যম কর্মী মোবাইল ফোন দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে লাগাতার মারধর করে তার কাছে থাকা দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পকেটে থাকা মানিব্যাগ সহ সাথে থাকা পত্রিকার আইডি কার্ড পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে প্রানে মেরে ফেলতে চেষ্টা করা হয়। এসময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক-কে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে গনমাধ্যম কর্মীকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরে আটকে রেখে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত নানা ভাবে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেন।

এসময় অভিযানে উচ্ছেদকৃত অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনের মালিকগণ ভূয়া সাংবাদিক উচ্ছেদ অভিযানের নামে রাজউকের ইমারত পরিদর্শকদের সাথে নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরে দ্বিতীয় দফায় মারধর করেন। এসময় নিউ টাউন সোসাইটি এলাকার অস্থায়ী কার্যালয়ে নেছার এর নেতৃত্বে একটি বৈঠক করে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে গনমাধ্যম কর্মীকে তাঁদের সামনে যে যার মতো শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা শুরু করে সেই চিত্র আশপাশের লোকজন দিয়ে ভিডিও করে চাঁদাবাজ আটক করা হয়েছে বলে পার্শ্ববর্তী থানায় ফোন দেয়া হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত সহ্য করার পরও যখন গনমাধ্যম কর্মী মিথ্যা অভিযোগ অস্বীকার করেন তখন ভবন নির্মাণের রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করেন।

ভবন মালিকদের বার বার ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মী বার বার অনুরোধ করেন কর্মরত পত্রিকার সম্পাদক এর সাথে কথা বলার জন্য, ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মীর অনুরোধে হয়তোবা কোন এক ব্যক্তি বিষয়টি দৈনিক ভোরের কথা পত্রিকার সম্পাদক-কে অবহিত করেন। সম্পাদক তাঁর পত্রিকার কর্মরত বিশেষ প্রতিনিধি ফয়সাল-কে উদ্ধার করতে পদক্ষেপ নিতে বলেন। দায়িত্ব নিয়ে তিনি তাঁর সহকর্মী দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ এর প্রধান সহকারী সম্পাদক মোঃ জাহিদ হাসান ও বিশেষ প্রতিনিধি আয়েশা আক্তার-কে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। এসময়ও ভবন মালিকরা ভূয়া সাংবাদিক ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং বলেন ভবিষ্যতে এই এলাকায় সে বসবাস করতে পারবেনা এবং রাজউক সম্পর্কিত তার কোন প্রকার সংযোগ যেন না থাকে ও আপনাদের পত্রিকায় তাঁকে চাঁদাবাজ হিসেবে নিউজ প্রকাশ করবেন এই মর্মে আমাদের নিউটাউন সোসাইটি এলাকার অফিসে ১০০ টাকা দামের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে আপনাদের জিম্মায় নিবেন। ভবন মালিকদের কথামত সকলেই স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন সেই মূহূর্তে ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মীকে সকল দোষ স্বীকার করে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা বলেন প্রথমে মিথ্যা অভিযোগ অস্বীকার করলে পাশে দাঁড়ানো ভবন মালিকরা আবারও আঘাত করতে থাকেন। শেষ মুহূর্তে নানা ধরনের হুমকি ভয়ভীতি ও অস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের শিখানো বক্তব্য দিতে বাধ্য হয়।

ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে পুরো বিষয়টি রাজউক জোন – ৬/২ এর ডগার মৌজার দায়িত্ব পালনকারী ভবন ইমারত পরিদর্শক মোঃ নাজিম উদ্দিন – কে ভবন মালিকদের নির্মমভাবে অত্যাচার এর বিষয়ে অবহিত করেন। অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবন মালিকদের এই নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে এমন পরিস্থিতি যাতে ভবিষ্যতে কেউ করার সাহস না পায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এবং রাজউক এর কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তা ভুক্তভোগী গনমাধ্যম কর্মীর কর্মরত পত্রিকার সম্পাদক জানতে রাজউক কর্মকর্তাগণের সাথে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ