বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি বিশেষ অভিযানে ১,০০,০০০ এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার।

শহীদুল ইসলাম শাহেদ টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময়ঃ বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫
  • ২২ প্রদর্শন করেছেন

বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সীমান্তাঞ্চলে মাদক ও চোরাচালান দমনে সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। যার ধারাবাহিকতায়, আজ ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অভিযানে বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এ সাফল্য, বিজিবির মাদকবিরোধী অঙ্গীকারের দৃঢ় বহিঃপ্রকাশ।

নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, বাংলাদেশের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মায়ানমারের কতিপয় মাদক কারবারীদের যোগসাজশে মাছ ধরার ছলে নাফ নদী দিয়ে বিপুল পরিমান মাদক জেলের বেশে পাচারের চেষ্টা করবে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক, ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখ ১৩৩০ ঘটিকায় সাবরাং বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় একটি সুসমন্বিত অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ঘটনার দিন, সীমান্তের ওপারে একটি সন্দেহজনক জেলে নৌকা বিক্ষিপ্তভাবে ঘোরাঘুরি শেষে নাফ নদীর শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের ১০০ গজ ভিতরে মাছ ধরার বেশে অপেক্ষা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সন্দেহজনক নৌকাটিকে ধরতে লক্ষবস্তু এলাকার কাছাকাছি বেশ কয়েকটি কৌশলগত স্থানে বিশেষ নৌটহল মোতায়েন করা হয়। পরে, ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নেতৃত্বে নাফ নদীর সীমান্তবর্তী এলাকায় ভাসমান নৌকাটি ধরতে নিকটবর্তী স্থানে অপেক্ষারত নৌ-টহলগুলিকে দ্রুত অভিযান পরিচালনার জন্য নিয়োজিত করা হয়। এসময়, অধিনায়কের নির্দেশে বিআরএম-৫ হতে আনুমানিক ১ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্ব কোনে ৪নং পোষ্ট বরাবর অবস্থানরত বিজিবি’র টহলদল মায়ানমারের সন্দেহজনক নৌকাটিকে সীমান্তে ধাওয়া করলে ০২ জন চোরাকারবারী নৌকা হতে লাফ দিয়ে সাঁতার কেটে শুন্য লাইন অতিক্রম করে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অপরাধীদের ফেলে যাওয়া নৌকাটিতে তল্লাশী অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার জালে জড়িয়ে লুকায়িত একটি প্লাষ্টিকের প্যাকেটের ভিতরে বিশেষভাবে মোড়কজাতকৃত ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারে জড়িতদের ধরতে বাংলাদেশ অংশের বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হলেও মাদক চক্রের কোন সদস্য কিংবা তাদের সহযোগীদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম ও অপরাধ দমনসহ জাতীয় নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান এবং জিরো টলারেন্স ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ