রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য ১৭ কোটি টাকার ওষুধ দিয়েছে একটি বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই ওষুধ আনার উদ্যোগ ও যোগাযোগ করেন কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তার শীর্ষ শ্রেয়ান।
ওষুধগুলো নেদারল্যান্ডস থেকে ২০ আগস্ট ঢাকায় আসে। সোমবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ওষুধগুলো গ্রহণ করে। এর মধ্যে আছে আল্টেপ্লেস নামের একটি ওষুধ, যা স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল রোগে ব্যবহার হয়।
৬১তম ব্যাচের ওই ইন্টার্ন ডাক্তার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র। বিশ্ব স্ট্রোক অর্গানাইজেশনের “ফিউচার স্ট্রোক লিডারস কোহর্ট-২” প্রকল্পে গবেষণার সুযোগ পাই। সেখানে আমি আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করি। পরে আমাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়।’
‘সেই সূত্রে ডিরেক্ট রিলিফের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক গর্ডন উইলহক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং রাজশাহী মেডিকেলে আল্টেপ্লেস ওষুধের প্রয়োজনীয়তা জানতে চান। সেখান থেকেই যোগাযোগ শুরু হয়। এরপর আমি আজিজুল হক স্যারকে জানাই।’
চিকিৎসক অধ্যাপক আজিজুল হক বলেন, ‘প্রস্তাব পাওয়ার পর আমি হাসপাতালের পরিচালককে জানাই। পরে দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ হয়। কোম্পানিগুলো এক বছরের মেয়াদ থাকা ওষুধ দাতা সংস্থাকে দেয়, যাতে গরিব দেশগুলো তা বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারে। এসব ওষুধ মূলত স্ট্রোক রোগীদের জন্য। তবে আমরা অনুরোধ করি হৃদরোগ চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য। পরে তারা অনুমতি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ওষুধে প্রায় ৫০০ রোগীর চিকিৎসা করা যাবে। আমাদের হাসপাতালে যে হারে রোগী আসে, এতে এক বছরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।’
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহমেদ বলেন, ‘হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১৭ কোটি টাকার ওষুধ এসেছে। আগে সহযোগিতা পাওয়া গেছে, তবে এত বড় অঙ্কের ওষুধ এবারই প্রথম।’