মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন

ইসলামি চিন্তাবিদকে গলা কেটে হত্যা, ভোলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ২ প্রদর্শন করেছেন

ভোলায় মাদ্রাসা শিক্ষক, ইসলামী আন্দোলন ঐক্যজোটের সেক্রেটারি ও ইসলামি চিন্তাবিদ আমিনুল হক নোমানীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দুই দিনেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার হয়নি কেউ।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের হাটখোলা মসজিদ চত্বরে বিশাল সমাবেশ শেষে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তৌহিদী জনতা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রাইসুল আলম, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি তরিকুল ইসলাম তারেক, ভোলার দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হকসহ রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণায় ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ভোলা সরকারি স্কুলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেনসহ যেসব স্কুলে পরীক্ষা ছিল, তাও স্থগিত করা হয়। সকালে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসে ক্লাশ না হওয়ায় ফিরে যায়।

গত শনিবার রাত ৯টার দিকে পশ্চিম ইলিশার বাপ্তা গ্রামে নিজের বসত ঘরে আমিনুল হক নোমানী হুজুরের গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ওই সময় নোমানীর স্ত্রী ও সন্তানরাও বাড়িতে ছিলেন না। এ ঘটনায় ভোলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে রোববার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বিকালে তাকে পশ্চিম ইলিশা বাপ্তা ও চরনোয়াবাদ সীমানায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজা অনুষ্ঠানে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ঘাতকদের গ্রেফতারে প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ভোলার দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক।

নোমানী এলাকায় একজন ইসলামি চিন্তাবিদ হিসেবে পরিচিত। তাফসিরের সুবক্তাও ছিলেন। তিনি উপজেলা জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ