ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপে গড়িমসি করছে। তার মতে, পশ্চিমাদের উচিত নিজেদের ভবিষ্যৎ স্বার্থ নয় বরং ইউক্রেনের বর্তমান চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কিয়েভের পশ্চিমা মিত্ররা। ইইউ ইতিমধ্যে ১৮ দফা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে এবং নতুন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফেরার পর ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের শীতলতা কাটাতে সতর্ক কৌশল নিচ্ছে। যদিও ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যুদ্ধ চলতে থাকলে তিনি নতুন নিষেধাজ্ঞার পথে যেতে পারেন।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, সব দেশকে নিজেদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভাবা উচিত।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার ভয়ে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে দেরি করা ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’।
জেলেনস্কি বলেন, আমাদের এখন যা ঘাটতি, তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ।
রাশিয়া বরাবরের মতো বলছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত এগুলো উল্টো ফল বয়ে আনবে।
মস্কো বলছে, শান্তিচুক্তির জন্য শর্ত হলো ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না, সামরিক শক্তি কমাতে হবে এবং সীমান্ত পরিবর্তনকে মেনে নিতে হবে।
এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নীতিগতভাবে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছেন এবং তাকে মস্কোতে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। তবে কিয়েভ সেটিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
সূত্র: আরটি