গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। সেই শ্রীলঙ্কাকে সুপার ফোরের শুরুতে দারুণভাবে হারিয়েছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশের এমন এক জয় দেখে সাবেক পাকিস্তান উইকেটরক্ষক কামরান আকমল জানালেন, লিটনদের দেখে শেখা উচিত তার দেশ পাকিস্তানের।
সপ্তাহখানেক আগে শ্রীলঙ্কার কাছে হার বাংলাদেশকে খাদের কিনারে ফেলে দিয়েছিল। সে ম্যাচের পর একাদশে চারটি পরিবর্তন আনা হয়। এরই ফল টানা দুই জয়।
বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করে কামরান বলেন, ‘একেই বলে কোয়ালিটি ক্রিকেট। এটাই প্রমাণ, আপনাদের কাছে যদি দল ভালো থাকে, ব্যালেন্স ভালো থাকে, তাহলে আপনি ভালোভাবেই রান তাড়া করতে পারবেন। বাংলাদেশকে বেশ আত্মবিশ্বাসী লেগেছে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা দল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৬৯ রান তাড়া করে ফেলাটা সহজ কাজ নয় কিন্তু। বাংলাদেশ সে কাজটাই করে ফেলেছে।’
‘দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কী দারুণ খেলেছে দলটা, কী দারুণ গেম অ্যাওয়ারনেস দেখিয়েছে তারা, রান তাড়া করার যে চাপ, সেটা মনেই হচ্ছিল না একেবারে। বাংলাদেশকে এভাবেই জিততে হতো।’
এরপরই তিনি পাকিস্তান ভারত ম্যাচের প্রসঙ্গে চলে আসেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান কি ভেবেছিল শ্রীলঙ্কাকে এভাবে বাংলাদেশ হারিয়ে দেবে? তারা ভালো ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিতেছে, গেম অ্যাওয়ারনেস দেখিয়েছে, ভালো পরিকল্পনার ফল পেয়েছে। মাহেদী হাসানকে খেলিয়েছে, পুরোদস্তুর বোলারদের খেলিয়েছে।’
আর এখানেই পাকিস্তানের শেখার বিষয় দেখছেন কামরান। তার অভিমত, ‘পাকিস্তানকেও ভাবতে হবে এখন। এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলা, আপনাকে ব্যাট আর বলের ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে। আপনি তিন বোলার খেলিয়ে জিততে পারবেন না। আগের ম্যাচে ৪ বোলার খেলিয়ে ফেঁসে গিয়েছিল পাকিস্তান। এখন দলটাকে বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে খেলতে হবে।’
এরপর ভারতের বিপক্ষে দলকে কী করতে হবে, সেটাও বাতলে দেন আকমল। তিনি বলেন, ‘শাহীন আফ্রিদি আর হারিস রউফ ঠিক আছে। পাকিস্তানকে তিনটা ভালো স্পিনার খেলাতে হবে। অভিষেক শর্মা আছে ওদের দলে, একে দ্রুত আউট করতে হবে। পাওয়ারপ্লের পুরোটা টিকে গেলে ও ৮০ রান বের করে দিতে পারে, তো তাকে দুই ওভারের ভেতরই আউট করতে হবে।’
ব্যাটিংয়েও পরিকল্পনার ছাপ দেখতে চান আকমল। তিনি বলেন, ‘ব্যাট করতে নেমে আপনাকে বুমরাহকে খেলতে হবে, সে গেলে কুলদীপ আছে, বরুণ চক্রবর্তী আছে। এখন আপনাকে বুঝেশুনে খেলতে হবে। ডট বল দেওয়া যাবে না। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সমস্যা ডট। ফিল্ডারদের হাতে না খেলে, ফাঁকা জায়গায় খেলতে হবে। এই পরিকল্পনার ছাপটা দেখতে চাই পাকিস্তানের খেলাতে। একটু দায়িত্বশীল ব্যাটিং দেখতে চাই, যা এই টুর্নামেন্টে চোখে পড়েনি। ’