শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনার মামলায় নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট জেরা আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ প্রদর্শন করেছেন

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট জেরা রোববার (২১ সেপ্টেম্বর)।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ জেরা হওয়ার কথা আছে। শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন জেরা পরিচালনা করবেন।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন নাহিদ ইসলাম। সেদিন দুপুরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কিছু সময় জেরা করা হলেও তা শেষ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজকের জন্য কার্যক্রম মুলতবি করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে তখন উপস্থিত ছিলেন মিজানুল ইসলাম, গাজী এমএইচ তামিম, সহিদুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মামুনুর রশীদসহ অন্যান্যরা।

এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৪৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। প্রসিকিউশনের ধারণা, তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর নতুন করে তেমন কেউ সাক্ষ্য দেবেন না।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন এবং ৪ সেপ্টেম্বর তার জেরা সম্পন্ন হয়। তিনি নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে ঘোষণা করে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং গণহত্যার নির্দেশনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে চলা আন্দোলনের সময় সংগঠিত গণহত্যার বর্ণনা উঠে আসে। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা শেখ হাসিনা, কামালসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ উপস্থাপন করেছে।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ