দুবাইয়ে আজ রবিবাসরীয় ক্রিকেট রজনী। ঝলমলে আলোয় অভিষেক শর্মা বনাম শাহিন আফ্রিদির দ্বৈরথ.! এই দ্বৈরথ গড়ে দিতে পারে এশিয়া কাপের ফাইনালের ভাগ্য।
সত্যিই কি পারে? এমন ধারণা ভারতের বোলিং কোচ মরনে মরকেলের। দুজনের সঙ্গেই যে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। এর আগে পাকিস্তানের বোলিং পরামর্শদাতা ছিলেন মরকেল। সেখানে বাঁ-হাতি পেসার শাহিন আফ্রিদিকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। মরকেল মনে করেন, অভিষেক ও শাহিনের দ্বৈরথ দুদলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
মরকেল বলেন, ‘শাহিন আগ্রাসী বোলার। ও যে কোনো ব্যাটারকে সমস্যায় ফেলতে পারে। অভিষেকও কম না। এই দুজন সামনাসামনি হলেই লড়াই উপভোগ্য হয়। ক্রিকেটপ্রেমীরা এই দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষা করে, যা খেলার জন্য ভালো।’
দুজনেরই বয়স ২৫। বেশ কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপটের সঙ্গে খেলছেন শাহিন। অন্যদিকে অনবদ্য স্ট্রোক প্লে দিয়ে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন পাঞ্জাবের অভিষেক। বিশেষ করে এশিয়া কাপে। ছয় ম্যাচের একটিতেও ব্যর্থ হননি। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ফিফটি এবং তিনটি ৩০ এর বেশি রান।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচে শাহিনকে বেধড়ক পেটান অভিষেক। প্রথম ম্যাচে ফুল টস বলে চার মেরে শুরু। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম বলেই ছক্কা। টিম ইন্ডিয়ার বোলিং কোচ দুই তারকার দ্বৈরথ দেখার অপেক্ষায়। এ লড়াই উপভোগ করতে চান সাবেক প্রোটিয়া পেসার।
গত রোববার ভারত-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে অশান্তির রেশ ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও। দুদেশের ক্রিকেটাররাই মেজাজ হারান। বিতর্কিত অঙ্গভঙ্গি করেন সাহিবজাদা ফারহান ও হারিস রউফ।
১৭২ রান তাড়া করতে নেমে শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়ান অভিষেক শর্মা ও শুবমান গিল। ওভারের শেষ বলে রউফকে ছয় মারার পরই মেজাজ হারান পাকিস্তানের পেসার। নন স্ট্রাইকারের দিকে ছিলেন অভিষেক।
রউফকে শান্ত হতে বলেন তিনি। তাতেই আরও চটে যান পাক পেসার। সেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন গিলও। শেষমেশ আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। এশিয়া কাপের ফাইনালে তেমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি চাইবে না কোনো দলই।