ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরোধিতা করে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) উরুগুয়ের রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন হাজারো বাসিন্দা। এ সময় তারা গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে ‘গণহত্যা হিসেবে’ স্বীকৃতি এবং ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিক্ষোভকারীরা। খবর বার্তা সংস্থা মেহের’র।
‘গণহত্যা বন্ধ করো! শান্তি, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা’ —এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এই বিক্ষোভে দেশটির ১৯টি প্রশাসনিক অঞ্চলের মানুষ অংশ নেয়। এই বিক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানী মন্টেভিডিও।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে স্লোগান দেন—‘ওটা ছিল হাসপাতাল, সামরিক ঘাঁটি নয়!’, ‘জায়নিস্ট রাষ্ট্র, আসল সন্ত্রাসী তোমরা!’।
ইউনিয়ন নেতা ও প্রো-ফিলিস্তিন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ড্যানিয়েলা লোপেজ বলেন, ‘আমরা জানতাম এটা হবে আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় মিছিল। এই গণহত্যা চলছে দুই বছর ধরে—এখন আর নীরব থাকা সম্ভব নয়। মানুষ আজ রাস্তায় নেমে তাদের মানবতার কণ্ঠ তুলে ধরছে।’
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস (ওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩৬টির মধ্যে মাত্র ১৪টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি সামান্য আশার আলো জাগালেও অধিকাংশ মানুষই এটিকে যথেষ্ট মনে করছেন না। তাদের মতে, মূল সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বাস্তব পদক্ষেপের প্রয়োজন।