জয় থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন আরও ৭৭ রান দূরে। তখন ৩ উইকেট প্রয়োজন বাংলাদেশের। আগের ম্যাচের অভিজ্ঞতা বলছে, জয়টা বুঝি খুব কাছেই।
স্বাগতিকদেরকে সেখান থেকে হারের তেঁতো স্বাদটা উপহার দিলেচ্ছিলেন শেই হোপ, আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশের সব ‘আশা’ কেড়ে নিচ্ছিলেন। তার ব্যাটে চড়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজ আশা দেখছিল জয়ের।
তবে ঠিক সেই সময় পথ আগলে দাঁড়ালেন সাইফ হাসান। শেষ ওভারে ৫ রান প্রয়োজন ছিল। তিনি দিলেন ৪ রান। আর তাতেই খেলাটা গড়াল গিয়ে সুপার ওভারে।
প্রথম দুই বলে ডট দিয়ে পরিস্থিতিটা বাংলাদেশের অনুকূলে নিয়ে আসেন সাইফ হাসান। এরপর দুই বলে দুই সিঙ্গেলে আবারও লড়াইয়ে ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল তিন রান। তখনই আকিল হোসেইনকে বোল্ড করেন সাইফ।
শেষ বলে ৩ প্রয়োজন ছিল। নতুন ব্যাটার খারি পিয়েরে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন আকাশে। সে ক্যাচটা নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ইতোমধ্যেই ২ রান নিয়ে নেয় উইন্ডিজ। ফলে ম্যাচটা হয় টাই।
এই ম্যাচে আগে থেকেই একগাদা রেকর্ড হয়ে গেছে। এতসব রেকর্ডের ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়ে গেল ওয়ানডে ইতিহাসে তাদের প্রথম টাই ম্যাচের স্বাদ। নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
তবে কাজটা এখনও শেষ হয়নি। খেলা গড়িয়েছে সুপার ওভারে।