ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর; টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেই হেরে গেলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে নিজেদের চেনাজানা উইকেটেও ১৬৬ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করেতে পারেনি টাইগাররা।
বাংলাদেশ দলের হারের জন্য বেশ কিছু কারণ তুলে ধরেছেন অধিনায়ক লিটন। বোলিংয়ে ১৭ ওভার পর্যন্ত উইন্ডিজের লাগাম টেনে রাখতে পারলেও শেষ তিন ওভারে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ তিন ওভারে মাত্র ১৮ বলে ৫১ রান তুলে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছায় ক্যারিবীয়রা।
দলের হারের মুল কারণ বোলিংয়ে শেষ তিন ওভার। তিন ওভারে তিন তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ ১৮তম ওভারে খচর করেন ১৫ রান। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজু রহমান খরচ করেন ১৪ রান। আর শেষ ওভারে তাসকিন-মোস্তাফিজকে ছাড়িয়ে ২২ রান খরচ করেন তানজিম হাসান সাকিব।
১৭ ওভারে ১১৪ রান করা উইন্ডিজ; শেষ তিন ওভারে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৫১ রান তুলে চ্যালেঞ্জিং স্কোরে পৌঁছায়।
১২০ বলে ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ব্যর্থ টপঅর্ডার এবং মিডল অর্ডার। ৭৭ রানে স্বীকৃত ৬ ব্যাটসম্যান আউট হওয়ায় ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব ও স্পিনার নাসুম আহমেদ হাল ধরলেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেননি।
শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ২০তম ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিন ছক্কা হাঁকালেও তার পা স্টাম্পে লেগে হিট আউট হয়ে যান। যে কারণে ১৯.৪ ওভারে ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে ১৬ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
খেলা শেষে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট নিয়ে অধিনায়ক লিটন বললেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ১০ ওভারে সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। উইকেট ছিল ধীরগতির। আমরা যদি শুরুর দিকে উইকেট নিতাম, তাহলে ওরা চাপে থাকত। আর ডেথ ওভারগুলোতে আরও ভালো বোলিং করতে হতো।
তিনি আরও বলেন, ব্যাটিংয়ের দিক থেকে, আমার মনে হয় আমরা পাওয়ারপ্লেতে অনেক উইকেট হারিয়েছি। শামীম হোসেনের ব্যাটিং নিয়ে আমি খুবই বিরক্ত। তাকে এটা নিয়ে ভাবতে হবে। তবে আজ আমরা যে ভুলগুলো করেছি; তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।