শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন

নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক হলেও সেটা এখন যেন অপরাধ: রাশেদ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ প্রদর্শন করেছেন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই দেশ ভালো মানুষের জন্য বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়বে।

শনিবার (১ নভেম্বর) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান লেখেন, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশের (এআইইউবি) সহকারী অধ্যাপক সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদের একাডেমিক ক্যারিয়ার বেশ বর্ণাঢ্য। তিনি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো, ইউনিভার্সিটি অব কেন্ট ও ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন থেকে স্কলারশিপে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি এআইইউবিতে নিয়মিত শিক্ষকতা করছেন। নিয়মিত ক্লাস নেন, শিক্ষার্থীদের পড়ান এবং নিজেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি মাঝে মধ্যে পত্রিকায় কলামও লেখেন।

সাঈদ ইব্রাহিম প্রসঙ্গে রাশেদ খান আরও বলেন, আমার সঙ্গে তার অনেকবার কথা ও আলোচনা হয়েছে। সেই সুবাদে বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছে। দেশ নিয়ে তার চিন্তা খুবই ইতিবাচক। বিশেষ করে শিক্ষাখাত, খেলাধুলা ও তরুণ প্রজন্ম নিয়ে তিনি কাজ ও ভাবনা করেন। কিন্তু তার অপরাধ কী—সে একজন নেতার ছেলে? আমরা পরিবর্তনের রাজনীতির কথা বলি, অথচ নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক হলেও সেটা এখন যেন অপরাধ!

তিনি বলেন, সাঈদ ইব্রাহিম এমন কেউ নন, যিনি নেতার ছেলে হিসেবে মিডিয়া বা ফেসবুক গরম করে বেড়ান। বরং তিনি ভদ্র, বিনয়ী ও আন্তরিক একজন মানুষ। তাহলে কি তিনি শিক্ষকতা ছেড়ে খারাপ কোনো কাজে জড়ালে তবেই সমাজ খুশি হতো?

ফেসবুকে চলমান নেতিবাচক প্রচারণার সমালোচনা করে রাশেদ খান আরও লেখেন, ফেসবুক এখন এমন জায়গা হয়ে গেছে, যেখানে যার বিষয়ে যা খুশি লিখে দেওয়া যায়, আর অন্ধ অনুসারীরা সেটাই বিশ্বাস করে প্রচার করে। এই মিথ্যাচার ও কারো চরিত্রহনন কোনো নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, হ্যাঁ, ড. ইউনূস স্যারের প্রতি অনেকের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আছে। তিনি ৮৫ বছরের একজন মানুষ। তার সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখাও গৌরবের বিষয়—ঠিক যেমনটি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গেও আমাদের স্মৃতি রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ