মালয়েশিয়ার এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (ইইজেড) বিদেশি জাহাজ, বিশেষ করে চীনের নৌযানগুলোর উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বিষয়টি কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চ্যানেলের মাধ্যমে সুচারুভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল তান শ্রী মোহাম্মদ আব রহমান।
শুক্রবার, কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ১৯তম আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠক (এডিএমএম)-এর ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জেনারেল মোহাম্মদ জানান, মালয়েশিয়ার জলসীমায় নিয়মিতভাবেই বিদেশি জাহাজ দেখা যায়, তবে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ইইজেড-এ নিয়মিত জাহাজ থাকে। আমরা বিষয়টি কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে, কখনও নিজস্ব ব্যবস্থায় মোকাবিলা করি। এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে, তাই অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
চীনের প্রতি মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক নোট পাঠানোর পর তাদের প্রতিক্রিয়া কী—জানতে চাইলে জেনারেল মোহাম্মদ বলেন, ‘ওটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে পড়ে। সে বিষয়ে জানতে হলে উইসমা পুত্রার (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের আলোচনা উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে হচ্ছে। তারা বিষয়গুলো বোঝে।’
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনাগুলো মালয়েশিয়া ও চীনের সামরিক সম্পর্কের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। বরং দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক পর্যায়ে রয়েছে।
‘আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ জাতি। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা ক্রমশ বাড়ছে। সামরিক ক্ষেত্রেও দ্বিপাক্ষিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সংগ্রহ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তির বিষয়ে আমরা কাজ করছি,’ যোগ করেন তিনি।
জেনারেল মোহাম্মদ জানান, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া ও চীন একটি যৌথ সামরিক মহড়া সম্পন্ন করেছে এবং উভয় দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যথাযথ গতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চীনের গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ অঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় বেইজিংয়ের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে, যা ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামোয় প্রভাব ফেলতে পারে।