নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পরদিন থেকেই ক্ষমতা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন জোহরান মামদানি। ব্যস্ততার মধ্যেই গতকাল বুধবার দুপুরে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন।
যে কয়জন ডেমোক্র্যাট নেতা শুরু থেকে দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে জোহরান মামদানিকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন, তাদের একজন নিউইয়র্কের আইনপ্রণেতা ওকাসিও-কর্টেজ।
অতিথি আপ্যায়নে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনে কী কী খাবার ছিল, তার কয়েকটি ছবি জোহরান মামদানি নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন। নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ওই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিতে দেখা যায়, ওকাসিও-কর্টেজ ও জোহরান চা পান করছেন। থালায় সাজানো মোমো ও আলুর দম। পাশেই পনির টিক্কার মতো দেখতে একটি খাবার এবং বাও (একধরনের নরম, সাদা, ভাপানো পুরভরা বান রুটি)। এসব খাবার দক্ষিণ এশীয় ঐতিহ্য বহন করে।
যে রেস্তোরাঁয় বসে তাঁরা মধ্যাহ্নভোজ করেছেন, সেটির নাম ‘লালিগুরাস বিস্ট্রো’। রেস্তোরাঁটি নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে অবস্থিত।
লালিগুরাস নেপালি শব্দ। এটি লাল রঙের রডোডেনড্রন। নেপালের জাতীয় ফুল ‘লালিগুরাস’।
ওকাসিও-কর্টেজের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের ছবি পোস্ট করে জোহরান লেখেন, ‘আপনাদের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে প্রথম দিনের ব্যস্ততা: ভোরে সাক্ষাৎকার, ট্রানজিশন দল ঘোষণা এবং একাধিক বৈঠক। এর সব বিষয়ে আরও কিছু বলব আগামীকাল। তবে দিনের বিশেষ মুহূর্ত ছিল জ্যাকসন হাইটসের লালিগুরাস বিস্ট্রোতে আমার কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোর্টেজের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজন।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তিনি এক্সে এ পোস্ট দেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ২১ লাখের বেশি মানুষ ওই পোস্ট দেখেছেন। এ সংখ্যা এখনো হু হু করে বাড়ছে।