বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী, যা বললেন ডা. প্রিয়াংকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৬ প্রদর্শন করেছেন

২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হিসেবে শেরপুর-১ আসন থেকে ভোট করেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। তিনি এবারও ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়েছেন।

শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ব্যবসায়ী হযরত আলী কারাগারে থাকার কারণে একাদশ নির্বাচনে প্রিয়াংকাকে প্রার্থী করে বিএনপি। বাবার তুমুল জনপ্রিয়তা ও চৌকষ নেতৃত্বে ভর করে প্রিয়াংকা ভীত কাঁপিয়ে দেয় সেই সময়ের আওয়ামী লীগ দুর্গের। সেই নির্বাচনে দুপুর ১২টার মধ্যে ৩৫ হাজার ভোট পেলেও কারচুপির অভিযোগ এনে অবশেষে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

এবার বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া ১০ নারীর মধ্যে প্রিয়াংকার নাম ওঠে আসায় আবারও ২০১৮ সালের নির্বাচনের সেই প্রতিবাদি চিত্র চোখে ভাসছে শেরপুরের মানুষের মনে।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, আমি ২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম। সেই সময় আমি শেরপুর সদরের সর্বস্তরের মানুষের চোখে মুখে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা দেখেছি। এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সাধারণ মানুষ যে পরিমাণ ভোট আমাকে দিয়েছিল তা দেখেই বুঝা যায় তারা ধানের শীষ এবং আমাকে কতটা ভালোবাসে। তারই পরিক্রমায় এবারও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এজন্য আমি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ধন্যবাদ জানাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি এই মনোনয়ন পেয়েছি। ২০১৮ সালে আমি প্রতিবাদ করে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম।

তিনি মনোনয়ন বঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, একটি আসনে অনেকগুলো প্রার্থী থাকতে পারে। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল বিধায় এখানে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। আমাদের এখানেও একাধিক প্রার্থী ছিলেন। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি প্রার্থীই ধানের শীষকে ভালোবাসে এবং মন থেকে দল করেন। কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমি বিশ্বাস করব বাকি সব প্রার্থী আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন। ইনশাআল্লাহ, শেরপুর সদর আসন থেকে এবার আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।

নারী কোটায় প্রার্থিতায় আলোচনায় আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য আমার আলাদা কিছু পরিকল্পনা থাকবে। সেই সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও কৃষি খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া বড় বড় প্রকল্পে নারীদের বেশি অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ