অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হতে আর বাকি মোটে ৮ দিন। এর ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়া বড় এক শঙ্কাতেই পড়ে গিয়েছিল। পেসার জশ হেইজেলউড ঘরোয়া ক্রিকেটে চোট পেয়ে বসেছিলেন। তবে তারা অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে। তার চোট খুব বেশি গুরুতর নয়।
পেসার জশ হেইজেলউড ইনজুরির শঙ্কায় বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এসসিজি) অনুষ্ঠিত ঘরোয়া ম্যাচ চলাকালীন হাসপাতালে যান। তবে স্ক্যান শেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তার হ্যামস্ট্রিংয়ে কোনো টান পড়েনি। ফলে তিনি আগামী সপ্তাহে পার্থে শুরু হতে যাওয়া প্রথম অ্যাশেজ টেস্টের জন্য দলে যোগ দেবেন।
হেইজেলউড ও শন অ্যাবট দুজনই নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে বোলিংয়ের পর স্ক্যানে যান।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, ‘হেইজেলউড আজ ভিক্টোরিয়ার ইনিংসের শেষ দিকে মাঠ ছাড়েন। তিনি ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান অনুভব করেন। সতর্কতামূলকভাবে স্ক্যান করা হয়, যা কোনো মাংসপেশির চোট দেখায়নি।’
‘তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্থে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং প্রথম টেস্টের আগে অনুশীলন করবেন।’
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স পিঠের ইনজুরির কারণে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলছেন না। ফলে হেইজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও স্কট বোল্যান্ডকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণ সাজানোর সম্ভাবনা বেশি।
তবে আনক্যাপড পেসার শন অ্যাবটের চোট গুরুতর বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ‘অ্যাবট মাঝারি মাত্রার হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে ভুগছেন। তিনি প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন না। তার পুনর্বাসন পরিকল্পনা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারণ করা হবে।’
হেইজেলউড ম্যাচে নয় ওভারে ২২ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। তবে ইনজুরির কারণে ব্যাটিং করতে নামেননি। ম্যাচ শেষে তাকে খোঁড়াতে দেখা যায়।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্বের দায়িত্বে থাকা স্টিভ স্মিথ বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে হেইজেলউডের শুধু কিছুটা টান পড়েছিল, গুরুতর কিছু নয়।’
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ নভেম্বর পার্থ স্টেডিয়ামে। এরপর ব্রিসবেন, অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে বাকি টেস্টগুলো অনুষ্ঠিত হবে।